—প্রতীকী ছবি।
শহরে ফের অগ্নিকাণ্ড। বিবাদী বাগের ৫ নম্বর গার্স্টিন প্লেসের একটি পুরনো বাড়িতে বিধ্বংসী আগুন লাগে শনিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ। ঘটনাস্থলে দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন যায়। আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয়েরাও। বাড়িটি ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। গোটা এলাকা ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। বাড়িটি থেকে মাঝেমধ্যেই বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া গিয়েছে। বাড়িটির বয়স ১০০ বছরেরও বেশি হওয়ায় সেটির কাঠামো ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এখনও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, প্রায় ছ’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই বাড়ি থেকে আগুন আর কোথাও ছড়ায়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ বাড়িটির তিন তলা থেকে প্রথম ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে বাড়িটির চার তলায়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। প্রায় এক ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। পরে আসে আরও একটি। মোট ছ’টি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নেভানোর কাজ চলে। এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ায় ঘটনাস্থলে দমকলের পৌঁছতে বেশ বেগ পেতে হয়। দমকল দেরিতে আসায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, দমকল আসতে দেরি করায় আগুন ক্রমে পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের কাছে প্রয়োজনীয় উপকরণ না থাকার অভিযোগও করেছেন স্থানীয়েরা। কী থেকে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়।
গার্স্টিন প্লেসের এই এলাকায় বহু পুরনো বাড়ি রয়েছে। যে বাড়িটিতে আগুন লেগেছে, সেখানে প্রায় ২৫টি পরিবারের বাস ছিল। সকলকে সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক পৌঁছে গিয়েছেন ঘটনাস্থলে। তাঁর অভিযোগ, বাড়িটিতে রাসায়নিক গুদাম ছিল। সে জন্যই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এর পাশাপাশি দমকলের বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy