— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সিপিএমের যুব সংগঠনের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ, রবিবার শহর অচল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে আজ সকাল থেকে শহরের রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ নামাচ্ছে লালবাজার। শহরের যে সমস্ত জায়গা থেকে ব্রিগেডমুখী মিছিল আসার কথা রয়েছে, সেই সব রাস্তাতেও থাকছে অতিরিক্ত ব্যবস্থা। ছুটির দিন হলেও জেলা থেকে আসা ব্রিগেডমুখী গাড়ির চাপের পাশাপাশি শহরে বেরোবে একটি ধর্মীয় মিছিল। এই জোড়া কর্মসূচির ধাক্কা সামলে যানবাহন সচল রাখাকেই অন্যতম চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছে পুলিশ।
আজ ব্রিগেডে সভার ডাক দিয়েছে সিপিএমের যুব সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন বা ডিওয়াইএফআই। বেলা ১২টা থেকে সেই সভা শুরু হবে। তবে, ব্রিগেডমুখী মিছিল আসা শুরু হয়ে যাবে সকাল ১০টা থেকেই। ব্রিগেডে সমাবেশের মঞ্চ বাঁধার কাজও রয়েছে শেষ পর্যায়ে। এ দিনের সমাবেশে কয়েক লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে বলে আগাম বার্তা দিয়েছেন যুব নেতৃত্ব। শিয়ালদহ স্টেশন, হাওড়া স্টেশন, শ্যামবাজার, হাজরা-সহ শহরের সাতটি প্রান্ত থেকে মিছিল ব্রিগেড অভিমুখে আসবে বলে ডিওয়াইএফআই সূত্রে জানা গিয়েছে। শিয়ালদহ এবং হাওড়া থেকে একাধিক মিছিল আসবে ধরে নিয়েই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। লালবাজার সূত্রের খবর, শিয়ালদহ স্টেশন থেকে আসা মিছিলগুলি মৌলালি-এস এন ব্যানার্জি রোড দিয়ে সোজা ধর্মতলার দিকে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। এর পরে ডোরিনা ক্রসিং থেকে ময়দান মার্কেট-ডাফরিন রোড হয়ে সোজা ব্রিগেডে পৌঁছবেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। হাওড়া স্টেশন দিয়ে মূলত বর্ধমান, মেদিনীপুর-সহ একাধিক জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকদের একটি বড় অংশ আসবেন। হাওড়া স্টেশন হয়ে ব্রিগেডগামী সমর্থকদের জন্য নির্দিষ্ট রাস্তা রাখছে লালবাজার। হাওড়া সেতু পেরিয়ে ব্রেবোর্ন রোড-আকাশবাণী ভবন হয়ে জনতাকে ব্রিগেডের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর দক্ষিণ কলকাতার মিছিলকে হাজরা থেকে আশুতোষ মুখার্জি রোড ছুঁইয়ে, বিড়লা তারামণ্ডল হয়ে ব্রিগেডে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ ছাড়া, শ্যামবাজার থেকে উত্তর কলকাতার মিছিল আসার কথা রয়েছে। সেই মিছিলটি বিধান সরণি-বিবেকানন্দ রোড হয়ে ডোরিনা ক্রসিংয়ে পৌঁছবে।
মিছিলের পাশাপাশি জেলা থেকে আসা কর্মী-সমর্থক বোঝাই প্রায় ৭০০টি বাসও শহরে ঢুকবে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। সেগুলিকে ট্রাই গ্রাউন্ডে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে।
এ দিকে, ব্রিগেডে বামেদের সভার পাশাপাশি আজ বেলা সাড়ে ১২টা থেকে শহরে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা বেরোনোর কথা রয়েছে। রাসবিহারী থেকে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ পর্যন্ত ওই মিছিলে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেবেন বলে মনে করছে পুলিশ। বামেদের সভার প্রায় একই সময়ে আরও একটি মিছিল চিন্তা বাড়িয়েছে ট্র্যাফিক পুলিশের। ফলে ধর্মীয় শোভাযাত্রা এবং ব্রিগেডমুখী মিছিল সামলে আদৌ শহর সচল রাখা যাবে কি না, সেই প্রশ্ন ঘুরছে ট্র্যাফিক পুলিশের অন্দরে। লালবাজারের এক পুলিশকর্তা যদিও বলেন, ‘‘শহরে মিছিল, মিটিং নতুন নয়। শহর সচল রাখতে যেখানে যেমন প্রয়োজন, সেই মতো ব্যবস্থা থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy