প্রতীকী ছবি
পড়ে যাওয়া গাছ সরিয়ে, বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিকের চেষ্টা করে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালাচ্ছে বিধ্বস্ত রাজারহাট। তবে আমপান আছড়ে পড়ার এক সপ্তাহ পরেও স্বাভাবিক হয়নি টেলিকম পরিষেবা। ইতিমধ্যেই ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ নির্ধারণে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, আনাজ ও ফুলচাষ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে ওই এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় আড়াই হাজার বাড়ি। কয়েকশো বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে।
রাজারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, প্রতিটি পঞ্চায়েত সমিতি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া দু’নম্বর, চাঁদপুর, রাজারহাট বিষ্ণুপুর, পাথরঘাটায় আমপানে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। গাছ, বাতিস্তম্ভ পড়েছে বিভিন্ন জায়গায়। সে সব সরানো হয়েছে। বিরাটাকায় গাছ সরাতে সেনাও সহযোগিতা করেছে। কিছু এলাকায় এখনও জমা জল রয়েছে। সেই জল বার করার চেষ্টা চলছে। ত্রিপল ও ত্রাণ ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি প্রশাসনের।
আমপানের তাণ্ডবে রাজারহাট এলাকায় মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। রাজারহাট পঞ্চায়েতের কর্মাধ্যক্ষ আফতাবউদ্দিন জানান, জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা সজল সরকারের (৪৫) মৃত্যু হয়েছিল ওই রাতে। ঝড়ে উড়ে যাওয়া বাড়ির অ্যাসবেস্টস ঠিক করতে গিয়ে তারই একটি অংশ এসে পড়ে সজলের উপরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফুল ও আনাজ চাষিদের। বিঘার পর বিঘা জমির চাষ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিশেষত, পাথরঘাটা, শিখরপুরের রজনীগন্ধা-সহ বিভিন্ন ফুল ঝড়ে পড়ে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, এই সব এলাকা থেকে কলকাতা-সহ জেলার বিভিন্ন বাজারে ফুল ও আনাজ যেত। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন রাজারহাট পঞ্চায়েতের কর্তারাও। রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর জানান, গাছ সরিয়ে, বিদ্যুৎ চালু করে জলের সুরাহা হয়েছে। তবে মোবাইল, টেলিফোন কিংবা ইন্টারনেট সংযোগ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তাঁর দাবি, ‘‘আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। তাই এখনই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা সম্ভব নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy