জয়ন্তবাবুর বাড়ির সামনে তদন্তে পুলিশ। রবিবার, কেষ্টপুরে। নিজস্ব চিত্র
নিজের বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল জ্যোতিষী জয়ন্ত শাস্ত্রীর (৫২)। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে। জয়ন্তবাবুর বাড়ি কেষ্টপুরের সমর দে সরণিতে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দম আটকে তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ জয়ন্তবাবুর বাড়ির দোতলায় ধোঁয়া ও আগুন দেখতে পান প্রতিবেশীরা। তাঁদের চিৎকারে এলাকার বাসিন্দারা জড়ো হয়ে গেলেও জয়ন্তবাবুর ঘর ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় কেউ ঢুকতে পারেননি। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “দোতলা থেকে আগুনের লেলিহান শিখা এবং কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। জয়ন্তবাবু দোতলাতেই ছিলেন। ওঁকে ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া মেলেনি। এ দিকে ঘর ভিতর থেকে তালাবন্ধ থাকায় কেউ ভিতরেও ঢুকতে পারিনি।”
শেষ পর্যন্ত প্রতিবেশীরাই বাগুইআটি থানা এবং দমকলে খবর দেন। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, ফের সৌমিত্রের শারীরিক অবস্থার অবনতি
পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা তালা ভেঙে দোতলার ঘরে ঢুকে অচৈতন্য জয়ন্তবাবুকে উদ্ধার করেন। ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, জয়ন্তবাবু যে ঘরে রাতে ঘুমিয়েছিলেন সেখানে কোনও ভাবে আগুন লেগে যায়। সিগারেটের টুকরো থেকে সোফায় বা ঘরের অন্য কোথাও আগুন লেগেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বিধানগর কমিশনারেটের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “জয়ন্তবাবু যে ঘরে ছিলেন সেই ঘরেই আগুন লাগায় ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাঁর মত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। তাঁর শরীরের কিছু অংশ পুড়ে গিয়েছিল। জয়ন্তবাবুর দেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।”
কেষ্টপুরের সমর দে সরণির তেতলা বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতেন ওই জ্যোতিষী। তবে রবিবার ঘটনার সময়ে পরিজনেরা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। জয়ন্তবাবুর স্ত্রী পুজোয় কৃষ্ণনগরের বাড়িতে গিয়েছিলেন। শনিবার রাতে কাজ সেরে জয়ন্তবাবু বাড়িতেফেরেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা জানান, জ্যোতিষী হিসেবে পরিচিত মুখ ছিলেন জয়ন্তবাবু। দেশে, এমনকি বিদেশেও তাঁর চেম্বার ছিল।
আরও পড়ুন: লোকসভার ক্ষত সারাতে নদিয়ায় কোমর বাঁধছেন মহুয়ারা
তাঁরা জানান, প্রতি রবিবার বাড়ির একতলার ঘরে জয়ন্তবাবুর চেম্বার চলত। টিভিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তাঁকে দেখা যেত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy