Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
dumdum

দমদম রোডে পুজো ঘিরে মেলা, নাকাল যাত্রীরা

দমদম স্টেশনের কাছ থেকে শুক্রবার অ্যাপ-ক্যাবে মাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন মেয়ে পারমিতা মিত্র। সকাল সাড়ে ১০টায় রওনা দিয়ে নাগেরবাজারে পৌঁছতে লাগল প্রায় এক ঘণ্টা।

রাস্তা আটকে জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপ। শুক্রবার, দমদম রোডে। নিজস্ব চিত্র

রাস্তা আটকে জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপ। শুক্রবার, দমদম রোডে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৫৮
Share: Save:

মূল রাস্তায় পুজো, বিক্রেতাদের সৌজন্যে ফুটপাতে পথচারীদের পা পড়ে না— এ শহরের দস্তুর হয়ে গিয়েছে এমনটাই। তাই বলে কি সদাব্যস্ত, ঘিঞ্জি গাড়ির পথও ধীরে ধীরে মেলার দখলে চলে যাবে? দক্ষিণ দমদম পুরসভার পরিস্থিতি দেখে প্রশ্ন বাসিন্দা ও পথচারীদের।

দমদম স্টেশনের কাছ থেকে শুক্রবার অ্যাপ-ক্যাবে মাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন মেয়ে পারমিতা মিত্র। সকাল সাড়ে ১০টায় রওনা দিয়ে নাগেরবাজারে পৌঁছতে লাগল প্রায় এক ঘণ্টা। পারমিতার অভিযোগ, ‘‘এমনিতেই গোটা রাস্তায় যানজট। জগদ্ধাত্রী পুজোর মেলার কারণে রাস্তার ওই অংশের অবস্থা দুর্বিষহ।’’ গাড়িচালক বিনোদ যাদবের অভিযোগ, ‘‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেও এই রাস্তায় ফেঁসে গিয়েছিলাম। এমন সঙ্কীর্ণ রাস্তায় কেউ মেলা করার অনুমতি কী ভাবে দিতে পারে?’’ একই প্রশ্ন বেশির ভাগ যাত্রীর।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার অধীনে দমদম রোডের অর্ধেকটা। বাকি অর্ধেক কলকাতা পুরসভার অধীনে। দমদম রোডের হনুমান মন্দির সংলগ্ন বাগজোলা খালের উপরের একটি কালভার্ট সংস্কারের উদ্যোগ বছরখানেক আগে শুরু হলেও কাজ এগোয়নি। ঝুলে আছে প্রকল্প। ওই ব্যস্ত পথে বাস-সহ ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ। ফলে সকাল ও সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে অটো, রিকশা, ট্যাক্সি, ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরবাইক ও সাইকেলে ট্র্যাফিকের গতি অতি মন্থর থাকে।

যদিও পুলিশের দাবি, পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক নামিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা হয়েছে। স্থানীয় পুর প্রশাসন ও পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, মাঝেমধ্যে গাড়ির গতি শ্লথ হয়েছে। অন্য এক যাত্রী, বরাহনগরের কিংশুক রায় জানাচ্ছেন, পুজো, মেলা, হকার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঘিরে যা তা অবস্থা দমদম রোডের।

প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা তৃণমূল নেতা অমিত পোদ্দার জানাচ্ছেন, করোনার দু’বছরে জীবিকার উপরে খারাপ প্রভাব পড়েছে। তাই শিল্পীরা পসরা নিয়ে বসেছেন। শুক্রবারই মেলা শেষ। কিন্তু পুজো বা মেলা কেন অন্যত্র হয় না? অমিতের দাবি, ‘‘স্থানাভাবই মেলা না সরার বড় কারণ। তা ছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে এখানেই পুজো হচ্ছে। ফলে পুজো সরানো যায়নি।’’

দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস সমস্যার কথা মেনে নিয়ে জানাচ্ছেন, পুরসভা, পুজোর উদ্যোক্তা এবং পুলিশ চেষ্টা করলেও সমস্যা মেটেনি। মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা দূর করতে ভবিষ্যতে বিশদে আলোচনার প্রয়োজন।

অন্য বিষয়গুলি:

dumdum Congestion Traffic Congestion
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy