—ফাইল চিত্র।
টালা সেতু বিপর্যয়ের পর থেকে লাগাতার যানজট চলছে উত্তর কলকাতা এবং উত্তর শহরতলির বিভিন্ন রাস্তায়। শুক্রবার মধ্য রাতে সেতু পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার পর থেকে সেই অবস্থার যাতে অবনতি না হয়, তাই লালবাজার অতিরিক্ত বাহিনী রাস্তায় নামাল।
পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবারই ১৫ জন সার্জেন্টকে বিভিন্ন বিভাগ থেকে ট্র্যাফিকে বদলি করা হয়েছে। যাঁদের টালা সেতু সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার যানবাহন সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও যান চলাচল সামলাতে অতিরিক্ত ট্র্যাফিক কনস্টেবল, পুলিশকর্মী-সহ ৭০ জনকে পাঠানো হয়েছে ওই এলাকায়। ট্র্যাফিকের এক কর্তা এ দিন বিকেলে জানান, সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকার ট্র্যাফিক সামলানোর অভিজ্ঞতা আছে এমন চার জন ইনস্পেক্টরকে টালা এলাকার ট্র্যাফিক সামলানোর জন্য পাঠানো হয়েছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলার কথা ভেবে ট্র্যাফিকের কর্মী ও অফিসারের বাইরে আরও একশো পুলিশকে মোতায়েন করা হয়েছে। তিনটি শিফটে এক জন এসি এবং দু’জন ইনস্পেক্টরের নির্দেশে ওই পুলিশ বাহিনী আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি ট্র্যাফিক পুলিশকে সাহায্য করছে। লালবাজারের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, মাঝেরহাট সেতু পরবর্তী সময়ে যে ভাবে দক্ষিণ কলকাতার যান চলাচল সামলানো হয়েছিল, সে ভাবেই বাগবাজার, শ্যামবাজার, টালা, কাশীপুর, আর জি কর রোড-সহ টালা সেতুর বিকল্প রাস্তাগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী থাকছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে টালা সেতুর বিকল্প রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরুর পর থেকেই যানবাহনের গতি বাধা পায়। যানজটে নাকাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে। অবস্থা সামলাতে এ দিন সকাল থেকে ওই এলাকায় ছিলেন যুগ্ম কমিশনার (ট্র্যাফিক) সন্তোষ পাণ্ডে এবং ডিসি ট্র্যাফিক রূপেশ কুমার। দুপুরের পরে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও সোমবার কী হবে তা নিয়ে চিন্তায় পুলিশকর্তারা।
ট্র্যাফিকের একটি অংশ জানিয়েছে, এ দিন ওই এলাকায় কিছু খামতি নজরে এসেছে। যেমন, গাড়ির গতি বাড়াতে গ্যালিফ স্ট্রিট, পাইকপাড়া-সহ কয়েকটি রাস্তা থেকে বাসের পার্কিং সরানো নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। একই সঙ্গে লকগেট উড়ালপুল এবং বিটি রোডের সংযোগস্থলে থাকা একটি পরিত্যক্ত বাড়ি ভাঙা নিয়েও পুরসভার সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy