এই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছিল নরকঙ্কাল।—ফাইল চিত্র।
খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ হয়নি। তাই কঙ্কাল-কাণ্ডের দুই অভিযুক্তকে পুনরায় নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাল পুলিশ। আদালত আরও সাত দিনের জন্য তাঁদের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
কঙ্কাল-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল সল্টলেকের এ জে ব্লকের ২২৬ নম্বর বাড়ির কর্ত্রী গীতা মহেনসরিয়া ও তাঁর ছোট ছেলে বিদুরকে। পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত শেষে বুধবার তাঁদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী সাবির আলি জানান, ঘটনার পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। তাই ধৃতদের ফের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান তিনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে নিয়মিত পুজো হত। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রায়ই অচেনা লোকজনকে ওই বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে দেখা যেত। এই ঘটনা সম্পর্কে গীতার কন্যা বৈদেহীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর খোঁজ পাননি তদন্তকারীরা। বৈদেহী কোথায় আছেন, তা জানতে চাওয়া হলে অভিযুক্তেরা পুলিশকে নানা ভাবে বিভ্রান্ত করেছেন বলে খবর।
ধৃতদের আইনজীবী জাকির হোসেন জানান, ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ৩১১ নম্বর ধারা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের ১৬৫ নম্বর ধারা প্রয়োগ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। আগামী ১৯ ডিসেম্বর সেই আবেদনের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল এবং সেখান থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন নমুনা খতিয়ে দেখার পরে তদন্তকারীদের অনুমান, আগে খুন করে তার পরে দেহ পোড়ানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে কঙ্কালটি অর্জুনের বলেই পুলিশের ধারণা।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় আবার তন্ত্রসাধনা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তবে অর্জুনকে ঠিক কী কারণে খুন করা হয়েছে এবং সেই খুনের সঙ্গে তন্ত্রসাধনার কোনও যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রতিবেশীরা ওই বাড়িতে মাঝেমধ্যে যাঁদের যাতায়াত করতে দেখতেন, তাঁরা কারা, তা-ও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
কিছু প্রশ্ন অবশ্য থেকেই যাচ্ছে। অভিযুক্তদের মোবাইল একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে। সেই সব মোবাইল কি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে? ওই বাড়িতে পুলিশ পোড়া ও আধপোড়া কাঠ পেয়েছে। সেগুলি কি দেহ পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল? ওই বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ কি সংগ্রহ করা হয়েছে? এ সব প্রশ্নের জবাব মেলেনি। পাঁচ দিন পরেও কঙ্কাল-কাণ্ড রয়ে গিয়েছে রহস্যে ঘেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy