ঘূর্ণিঝড় ‘জ়ওয়াদ’-এর প্রত্যক্ষ প্রভাব কলকাতা তথা এ রাজ্যে পড়ার আশঙ্কা নেই বলেই শনিবার জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে ঝুঁকি নিতে নারাজ কলকাতা পুলিশ ও পুরসভা। তাই কলকাতা পুরসভা সমস্ত বিভাগকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ আগেই দিয়েছে। লালবাজারও কন্ট্রোল রুম খুলে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে।
ঘূর্ণিঝড় জ়ওয়াদের প্রভাবে কলকাতা ও শহরতলিতে শনিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত যা চলবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দুর্যোগ মোকাবিলায় কলকাতা পুরসভার তরফে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছিল কয়েক দিন আগেই। গত বৃহস্পতিবার পুর কমিশনার বিনোদ কুমার বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক সারেন। বিপর্যয় মোকাবিলায় সব বিভাগকেই যাবতীয় প্রস্তুতির নির্দেশ দেন। পুরকর্মীদের ছুটি বাতিল হয়েছে। সিইএসসি-র সঙ্গে পুরসভাও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। তবে শনিবারই হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টি চললেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে না এই রাজ্যে।
যা শুনে স্বস্তি পেলেও পূর্ব নির্দেশ মতো প্রস্তুতি সেরেই রাখছেন কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ। যেমন, জমা জল সরাতে পুরসভার ৭৬টি পাম্পিং স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি, প্রতিটি বরো অফিসে ভাঙা গাছ সরাতে একাধিক দল থাকছে। জমা জল সরাতে নিকাশির কর্মীরাই ম্যানহোল খুলবেন। খোলা ম্যানহোল থেকে বিপদ এড়াতে সেটি চিহ্নিত করার কথা বলা হয়েছে। খিদিরপুর, একবালপুর, আমহার্স্ট স্ট্রিট, সুকিয়া স্ট্রিট, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, এম জি রোড, ঠনঠনিয়ার মতো এলাকায় বাড়তি পাম্প থাকছে। বস্তি বা নিচু এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনে পুর বিদ্যালয় বা কমিউনিটি হলে সরানো হবে।
জ়ওয়াদ সতর্কতায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে লালবাজার। কন্ট্রোল রুমে কলকাতা পুরসভার প্রতিনিধি, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সিইএসসি-র প্রতিনিধিরা রয়েছেন। লালবাজার সমস্ত সরকারি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। সেই সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রিভার ট্র্যাফিক পুলিশকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ দিন সকাল থেকেই গঙ্গাবক্ষে নজরদারি চালিয়ে মানুষকে সতর্ক করতে দেখা যায় রিভার ট্র্যাফিক পুলিশকে।