Advertisement
E-Paper

এখনও বন্ধ মেট্রোর অনেক প্রবেশপথ, হয়রানি যাত্রীদের 

সোমবার থেকে ই-পাস উঠে যাওয়ার পাশাপাশি ট্রেনের সংখ্যাও এক লপ্তে অনেকটাই বাড়ছে।

সেন্ট্রাল মেট্রো

সেন্ট্রাল মেট্রো

ফিরোজ ইসলাম

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২১ ০২:৩০
Share
Save

করোনা আবহে পরিষেবা শুরু হওয়ার প্রায় পাঁচ মাস পরে মেট্রোয় উঠে যাচ্ছে ই-পাস ব্যবস্থা। এখনই অবশ্য টোকেনের ব্যবহার চালু হচ্ছে না। তবে পরিষেবা ধীরে ধীরে পুরোপুরি স্বাভাবিক করার দিকেই এগোচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

কাল, সোমবার থেকে ই-পাস উঠে যাওয়ার পাশাপাশি ট্রেনের সংখ্যাও এক লপ্তে অনেকটাই বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের একটি বড় অংশেরই অভিযোগ, বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে ঢোকা এবং বেরোনোর অধিকাংশ গেট এখনও বন্ধ থাকায় খুবই অসুবিধায় পড়েছেন তাঁরা। অযথা অনেকটা বেশি হাঁটতে তো হচ্ছেই, সেই সঙ্গে সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতেও পারছেন না অনেকে। এই ভোগান্তি কেন এবং আর কত দিন চলবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। বিশেষত বয়স্ক, শিশু এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ওই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে।

মহানায়ক উত্তমকুমার থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত মাটির উপরে থাকা স্টেশনগুলিতে ততটা সমস্যা না-হলেও ভূগর্ভস্থ বিভিন্ন স্টেশনে এই সমস্যা যাত্রীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। মাটির উপরে থাকা স্টেশনগুলিতে প্রবেশপথের সংখ্যা তুলনায় কম বলে সমস্যাও কম। কিন্তু মাটির নীচের অধিকাংশ স্টেশনেই রয়েছে একাধিক প্রবেশপথ। রবীন্দ্র সরোবর, কালীঘাট, যতীন দাস পার্ক, নেতাজি ভবন, রবীন্দ্র সদন, ময়দান, পার্ক স্ট্রিট, এসপ্লানেড, চাঁদনি চক, সেন্ট্রাল, মহাত্মা গাঁধী রোড, শোভাবাজার, গিরিশ পার্ক, শ্যামবাজার এবং বেলগাছিয়া স্টেশনে একাধিক প্রবেশপথ রয়েছে। প্রাক্-করোনা পরিস্থিতিতে যাত্রীরা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রবেশপথ ব্যবহার করে স্টেশনে পৌঁছতে পারতেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে গত সেপ্টেম্বর মাসে পরিষেবা পুনরায় শুরু করার সময়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে বেশির ভাগ প্রবেশপথই বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাঁরা এ-ও জানিয়েছিলেন, করোনা আবহে কর্মীদের হাজিরা কম থাকায় সব ক’টি প্রবেশপথ খোলা রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। প্রতিটি প্রবেশপথে রক্ষী মোতায়েনের ক্ষেত্রে অসুবিধা ছাড়াও একাধিক স্টেশনে সব পথ খুলে দিলে যাত্রীদের ঢোকা ও বেরোনোর সময়ে দূরত্ব-বিধি লঙ্ঘিত হওয়ারও আশঙ্কাও ছিল বলে তাঁদের মত। মেট্রো স্টেশনে যাত্রীদের ঢোকার ও বেরোনোর পথ যাতে মুখোমুখি না পড়ে, সে দিকে লক্ষ রাখাও ওই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ছিল। শুরুর দিকে যাত্রী কম থাকার সময়ে তেমন অসুবিধা না হলেও যাত্রী বাড়তে শুরু করার পরে ওই সমস্যা বড় হয়ে দেখা দেয়। কালীঘাট, পার্ক স্ট্রিট, এসপ্লানেড, চাঁদনি চকের মতো একাধিক স্টেশনে নির্দিষ্ট প্রবেশপথ খুঁজে পেতে যাত্রীদের প্রায়ই হয় ব্যস্ত রাস্তা পেরোতে হচ্ছে, নয়তো কয়েকশো মিটার পথ হাঁটতে হচ্ছে। যা বয়স্ক, শিশু এবং মহিলাদের পক্ষে খুবই অসুবিধাজনক। যাত্রীদের অনেকেই এই সমস্যার কারণে মেট্রো এড়িয়ে চলছেন বলে অভিযোগ। কালীঘাট, রবীন্দ্র সরোবর ও এসপ্লানেডের মতো বড় স্টেশনগুলিতে এই সমস্যা বেশ জটিল। সেই কারণে মাস দেড়েক আগে গেটের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

আরও খবর: বউবাজারে বৃদ্ধ খুন, মাথায় বাড়ি প্রেসার কুকারের, গলায় ধারালো ছুরির কোপ

আরও খবর: পলাতক অভিযুক্তদের তালিকা চাইল নির্বাচন কমিশন

এ দিকে, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের দিকে এগোনোয় প্রতিটি প্রবেশপথই খুলে দেওয়ার জোরদার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যাত্রী-সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে আরও বেশি সংখ্যক প্রবেশপথ খোলার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বিবেচনাধীন। খুব দ্রুত এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ মেট্রো সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতি চললেও এখন তাঁদের কর্মীদের হাজিরা বেড়েছে। প্রায় সকলকেই আসতে হচ্ছে। ফলে প্রবেশপথের সংখ্যা বাড়লে সেখানে রক্ষী মোতায়েনের ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

Kolkata Metro E-Pass

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}