প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি।
রাজ্যের অন্যান্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এ বার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়েও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। প্রেসিডেন্সির প্রবেশিকা পরীক্ষা কয়েক বছর ধরে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড নিচ্ছে। প্রেসিডেন্সির পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্য বিভাগের পাঁচ বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির প্রবেশিকা নেওয়াও বন্ধ রাখল বোর্ড।
বুধবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ভার্চুয়াল বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়, করোনার এই সময়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। শেষ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি নিতে হবে। সেই সময়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া জানান, ইতিমধ্যে তাঁদের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে। গত কয়েক বছরের মতোই সেই পরীক্ষা নেবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। বোর্ডের পক্ষ থেকে সেই সব পরীক্ষার দিনক্ষণও জানানো হয়েছে। প্রবেশিকা দেবেন বলে হাজার হাজার পড়ুয়া ইতিমধ্যে আবেদনও করেছেন। বৈঠকের মধ্যেই ফোনে ধরা হয় বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহাকে। কিন্তু তাতেও বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়নি। ঠিক হয়, উচ্চশিক্ষা দফতর, প্রেসিডেন্সির উপাচার্য এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান পরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
সূত্রের খবর, সেই বৈঠকের আর প্রয়োজন হয়নি। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড এ দিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত একক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আর প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে না। ভর্তির কাউন্সেলিংও হবে না। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত এই প্রবেশিকা নেওয়া তারা বন্ধ রাখছে। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ প্রবেশিকা বাতিল হয়ে যাওয়ার পরে কী পদক্ষেপ করবেন, তা নিয়ে এখনও তাঁরা কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। গত বছর প্রেসিডেন্সির প্রবেশিকা অতিমারির পরিস্থিতিতে শেষ মুহূর্তে বাতিল করেছিল বোর্ড। শেষে পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল।
এ দিন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী মিমোসা ঘোড়াই প্রবেশিকা বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, তাঁরা চেয়েছিলেন প্রবেশিকা পরীক্ষা হোক। এ নিয়ে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের কাছে বার বার আর্জিও জানিয়েছিলেন তাঁরা। মিমোসা বলেন, ‘‘এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক ও অন্যান্য বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হচ্ছে না। যে ভাবে মূল্যায়ন হচ্ছে, তা প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা তাই চেয়েছি, প্রবেশিকা নিয়েই ভর্তি নেওয়া হোক। প্রবেশিকা না নেওয়া হলে যোগ্য পড়ুয়ারা প্রেসিডেন্সিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বঞ্চিত হবেন। প্রেসিডেন্সির মানের পক্ষেও তা কাম্য নয়।”
যাদবপুরের সান্ধ্য বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা আগে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড নিলেও গত বছর তারা নেয়নি। এ বারও নেবে না বলে এ দিনের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এ দিন বলেন, ‘‘এআইসিটিই অনুমোদিত এই কোর্সের প্রবেশিকা গত বছরও বোর্ড নেয়নি। এ বারও নিতে পারবে না বলে আগেই জানিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy