প্রতীকী ছবি।
পাঁচিল ঘেরা জমিতে আবর্জনার স্তূপ। জঞ্জাল জমছে খাল, জলাশয়, নিকাশি নালাতেও। দমদম পুরসভার বেশ কিছু জায়গায় এ ভাবেই যত্রতত্র আবর্জনা ফেলার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এই সমস্যার কথা মেনে নিয়ে পুরকর্তাদের দাবি, এমন প্রবণতা বন্ধ করতে সচেতনতার প্রচারে যেমন জোর দেওয়া হচ্ছে, তেমনই প্রয়োজনে ওই সব জমির মালিকদেরও নোটিস পাঠানো হবে।
দমদম পুর এলাকার পি কে গুহ রোড, নির্মল সেনগুপ্ত সরণি-সহ বেশ কিছু রাস্তায় যত্রতত্র পড়ে থাকা আবর্জনার এই দৃশ্য আকছার দেখা যায়। কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন ওয়ার্ডের ফাঁকা বা অব্যবহৃত জমি, খাল, জলাশয় বা নিকাশি নালাতেও জমা হচ্ছে আবর্জনা। নলতা এলাকায় একটি পাঁচিল ঘেরা, ফাঁকা জমিতেও দেখা গেল জঞ্জালের স্তূপ। দমদমের এক বাসিন্দা রীতা মোদকের দাবি, পুরকর্মীরা সকাল থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করেন। অথচ বাসিন্দাদের অনেকেরই আবর্জনা ফেলা নিয়ে হুঁশ নেই। এই প্রবণতার কারণেই জলাশয় বা নালার জল-প্রবাহ অবরুদ্ধ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পুরসভা সূত্রের খবর, নিকাশি নালা পরিষ্কার করলে সেখান থেকে রাশি রাশি প্লাস্টিকের চায়ের কাপ বা প্লাস্টিকে মোড়া আবর্জনা উঠে আসে।
গোরাবাজারের এক বাসিন্দা বিমল দাসের মতে, ‘‘শহর পরিচ্ছন্ন রাখার দায় বাসিন্দাদেরও। তাঁরা সচেতন না হলে হাজার প্রচারেও কাজ হবে না। নালা, খাল, পুকুরে আবর্জনা ফেলেন স্থানীয়দের একাংশ। মশার প্রকোপ বাড়লে বা জল জমলে তার দায় বাসিন্দাদেরও।’’ সমস্যার কথা মেনে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্টের দাবি, ‘‘সব ওয়ার্ডে কাউন্সিলরেরা পুরকর্মীদের নিয়ে বছরভর কাজ করেন। খাল, নালা, রাস্তার পাশের ফাঁকা জমিতে অনেকে আবর্জনা ফেলেন নিয়মিত। কিছু ক্ষেত্রে পুরকর্মীরা ফাঁকা জমি পরিষ্কারও করছেন।’’ প্রয়োজনে পুরসভা সেই সব জমির মালিকদের নোটিস পাঠাবে বলেও জানান ভাইস চেয়ারম্যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy