উত্তর কলকাতায় পুলিশের নজর এড়িয়ে মাস্ক নামিয়েই পথে এক প্রৌঢ়া। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
শহরে করোনার সংক্রমণ সামান্য কমলেও একাধিক বরোয় তা কমেনি। উদ্বিগ্ন কলকাতা পুরসভা তাই আগামী বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক ডাকল। পুরসভা সূত্রের খবর, দশ নম্বর বরোয় সংক্রমণ সব চেয়ে বেশি থাকায় বৃহস্পতিবার ওই বরো অফিসেই বৈঠকটি হবে। সোমবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘গত কয়েক দিনের তুলনায় সোমবার শহরে সংক্রমণের সংখ্যা কমলেও একাধিক বরোয় সংক্রমণ থেমে নেই। ওই সমস্ত বরোর আধিকারিক ও আবাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। বেলাগাম সংক্রমণ ঠেকাতে কী কী করণীয়, সে ব্যাপারে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
এ দিন মেয়র জানান, ১১ জানুয়ারি শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় সাত হাজার। সোমবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৮৭৯-এ।
পুরসভা সূত্রের খবর, গত দু’সপ্তাহ ধরে তিন, সাত, আট, দশ, এগারো ও বারো নম্বর বরো এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। তার মধ্যে আট ও দশ নম্বর বরোয় বেশি সংক্রমণ ধরা পড়ে। পুর প্রশাসনের চিন্তা বাড়ছে সরকারি রেকর্ডের বাইরে থাকা সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্তদের নিয়ে। পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, অনেকে পরীক্ষা না করিয়েই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাচ্ছেন। অথচ পরীক্ষা করালে তাঁদের করোনা ধরা পড়বে। তাঁরা অবাধে ঘোরাফেরা করায় সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। তাঁদের চিহ্নিত করে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। পুরসভার এক চিকিৎসকের কথায়, ‘‘শহরে বেশির ভাগ আবাসনের বাসিন্দারাই আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকে পরীক্ষা না করিয়েই স্রেফ প্যারাসিটামল খেয়ে থাকছেন। আবাসনের লিফটগুলি বিপজ্জনক। পুরসভা সমস্ত আবাসনের লিফটে স্যানিটাইজ়ার রাখা বাধ্যতামূলক করলেও অনেকে নিয়ম মানছেন না। আমরা আবাসন কমিটিগুলিকে ডেকে করোনা-বিধি কঠোর ভাবে মেনে চলার পরামর্শ দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy