সময়ের ভারে ন্যুব্জ হয়ে এমন অনেক জমিদার বাড়িই আজ ভগ্নপ্রায়। কিছু আবার হারিয়ে গিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। কিছু বাড়ি এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে উত্তরাধিকারীদের হাত ধরে। কিন্তু সেই সমস্ত পুরনো বাড়ির আনাচে-কানাচে লেগে থাকা নস্টালজিয়া আজকের দিনে পুরোপুরি উপভোগ করা সম্ভব কি?
ইনরা ঐতিহ্য
বলা হয়, কলকাতার মধ্যে লুকিয়ে আছে আরও এক কলকাতা। এই শহর সযত্নে নিজের বুকে জড়িয়ে রেখেছে কত শত ইতিহাসকে। এই ইতিহাসের পাতার অনেকখানি জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন জমিদার বাড়ি। যা কার্যত শহর কলকাতার ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যে বাড়িগুলির অন্দরমহলে পা রাখলে অনুভব করা যায় অনন্য সংস্কৃতি, মিশে যাওয়া যায় শহরের হৃদস্পন্দনের সঙ্গে। কলকাতার সেই ঐতিহ্য এবং বনেদিয়ানাকে সাক্ষী রেখেই তৈরি হয়েছে ‘ইনরা ঐতিহ্য’।
শহর কলকাতার ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলির বেশিরভাগটাই ব্রিটিশ আমলে বা তারও আগে তৈরি। সেই বাড়িতে থাকতেন তৎকালীন জমিদার, অভিজাত এবং সমাজের মান্যগণ্য ব্যক্তিরা। প্রাসাদোপম স্থাপত্য, চোখ ধাঁধানো নকশা, সাদা-কালো চৌকো বাক্স আঁকা মেঝে, গাছ ভর্তি বাগান, প্রশস্ত দেওয়াল, সেই দেওয়ালে টানানো হাতে আঁকা ছবি — ঘরের অন্দরমহল জাগিয়ে তুলত সম্ভ্রম আর বিস্ময়!
তবে, শহরের বয়স বেড়েছে। সময়ের ভারে ন্যুব্জ হয়ে এমন অনেক জমিদার বাড়িই আজ ভগ্নপ্রায়। কিছু আবার হারিয়ে গিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। কিছু বাড়ি এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে উত্তরাধিকারীদের হাত ধরে। কিন্তু সেই সমস্ত পুরনো বাড়ির আনাচে-কানাচে লেগে থাকা নস্টালজিয়া আজকের দিনে পুরোপুরি উপভোগ করা সম্ভব কি?
তা হলে নতুন প্রজন্ম কোথায় পেতে পারে সেই বনেদিয়ানার স্বাদ?
উত্তর দিচ্ছে ‘ইনরা ঐতিহ্য’। জমিদার ও বনেদি বাড়ির সেই সব বৈশিষ্ট্যকে সঙ্গে নিয়েই তিলোত্তমার বুকে তৈরি হয়েছে এই অতিথিশালা। সত্যি বলতে কলকাতার বুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বহু অতিথিশালা রয়েছে। কিন্তু কী এমন রয়েছে ‘ইরা ঐতিহ্যে’, যা অন্য অতিথিশালাগুলি থেকে এটিকে করে তুলেছে স্বতন্ত্র?
‘ইরা ঐতিহ্যে’ রয়েছে পুরনো কলকাতার বর্ণময় আবেগ, আর আধুনিকতায় মোড়া ইতিহাস। এমন অতিথিশালা এই শহরে দ্বিতীয়টি নেই। এই অতিথিশালার পরতে পরতে লেগে রয়েছে নস্টালজিয়ার ছোঁয়া; এক অভাবনীয় রাজকীয়তার স্বাদ; ঐতিহ্য, বনেদিয়ানা ও বিলাসিতার এ যেন এক অদ্ভূত মিশেল। রোজাকার অফিসের ক্লান্তি শেষে এখানে কাটানো একটা উইক-এন্ড, আপনাকে দেবে অপার তৃপ্তি ও প্রশান্তি।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শহর আধুনিক হচ্ছে। মস্ত বড় ঠাকুর দালান, দীর্ঘকায় প্রবেশদ্বার, সিংহদুয়ার, ঘরের উপরে সাজানো কড়িকাঠ এই সব এখন অতীত। দুই-তিন কামরার ফ্ল্যাটবাড়িতে বাসা বাঁধছে শহরবাসী। ব্যস্ত জীবনের সরলরেখা থেকে সরে এসে একটু আলাদা সময় কাটাতে চাইলে ‘ইনরা ঐতিহ্য’ হতে পারে আপনার উইক-এন্ডের প্রিয় ঠিকানা। বনেদি বাড়ির ঐতিহ্যের ছোঁয়া থাকলেও এখানে রয়েছে আধুনিক বিলাসবহুল জীবনযাপনের সমস্ত ব্যবস্থা এবং সব রকমের অত্যাধুনিক পরিষেবা। এখানকার প্রত্যেক কর্মীর ব্যবহার আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য।
দিনের শেষে ‘ইনরা ঐতিহ্য’ আপনাকে দেবে এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। কোনও এক গোধুলি বিকেলে ‘ইনরা ঐতিহ্যের’ ঝুল বারান্দায় রাখা কেদারায় বসে আপনিও উপভোগ করুন তিলোত্তমার সূর্যাস্ত। দক্ষিণ খোলা জানালা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে আরও একবার নতুন করে দেখুন আপনার প্রিয় শহরকে। দেখবেন, আপনার মন চাইবে ফিরে আসতে বারবার, এখানেই।
বুক করতে ফোন করুন:
+৯১ ৯০৫১৬৩৩৮৮৫
সুতনু সরকার
এই প্রতিবেদনটি ‘ইনরা ঐতিহ্যের’ সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy