Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Sujay Krishna Bhadra

সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে তোড়জোড়, হঠাৎই এসএসকেএমে ইডির আধিকারিকেরা

বৃহস্পতিবার প্রথমে হাসপাতাল সুপারের ঘরে যান ইডির আধিকারিকেরা। পরে হৃদ্‌রোগ বিভাগেও যান তাঁরা। প্রসঙ্গত, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন সুজয়কৃষ্ণ ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’।

ED officials visits SSKM hospital regarding Sujay Krishna Bhadra in recruitment case

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৪৪
Share: Save:

হঠাৎই এসএসকেএম হাসপাতালে গেল ইডি। বৃহস্পতিবার সকালে নিয়োগ মামলার অন্যতম তদন্তকারী অফিসারের নেতৃত্বে বেশ কয়েক জন ইডি আধিকারিক হাসপাতালে যান। বৃহস্পতিবার প্রথমে হাসপাতাল সুপারের ঘরে যান তাঁরা। সেখান থেকে বেরিয়ে হৃদ্‌রোগ বিভাগেও যান তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’।

ইডি সূত্রের খবর, নিয়োগ মামলায় সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা কেমন আছে, কেন এত দিন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হচ্ছে, আর কত দিনই বা ভর্তি থাকতে হবে, এই বিষয়ে যাবতীয় খোঁজ খবর করতেই ইডির তদন্তকারীরা প্রথমে সুপারের ঘরে যান। এরপরই কার্ডিওলজি বিভাগে পৌঁছন তাঁরা। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলতে বলছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এমনই একটি অডিয়ো বার্তার কথা আদালতকে জানিয়েছিল ইডি। তাদের দাবি ছিল, ওই অডিয়োতে সুজয়ের গলা শোনা যাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে স্বরের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। সুজয়ের শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ দিন ধরে এই প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছে। ইডির আবেদনে সম্মতি দিয়ে সম্প্রতি আবার ‘কালীঘাটের কাকু’র গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’কে গত ৩০ মে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তার পর ইডি হেফাজত শেষে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু সুজয় জেলে যাওয়ার পর থেকে তাঁকে আর এক দিনও জেরা করতে পারেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। প্রথম যে দিন তদন্তের প্রয়োজনে সুজয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এসেছিলেন তাঁরা, সে দিনই মৃত্যু হয় সুজয়ের স্ত্রীর। ফলে জেরা করা যায়নি। তার পর দীর্ঘ প্যারোল এবং প্যারোলের মেয়াদ শেষ হতে না হতেই সুজয়ের অসুস্থতা— সব মিলিয়ে তাঁর নাগাল না পাওয়ায় কিছুটা প্রভাব তদন্তেও পড়ছে বলে ইডি সূত্র খবর।

এর মধ্যেই ইডির উপরও নিয়োগ মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করার চাপ আসছে। তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতার জন্য কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতিদের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হচ্ছে ইডিকে। সম্প্রতিই লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংক্রান্ত মামলাতেও বিচারপতি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ইডিকে। আর এই মামলারই অন্যতম সূত্র সুজয়। কারণ, তিনি ওই সংস্থার প্রাক্তন কর্মী। এই পরিস্থিতিই দুর্গাপুজোর তৃতীয়ার দিন এসএসকেএমে হাজির হন ইডির কর্তারা। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তাদের কাছে সুজয়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি দেখতে চান ইডি কর্তারা। যাতে অন্যত্র পরামর্শ নেওয়া যায়।

গত অগস্টের মাঝামাঝি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে হার্টের অপারেশন হয়েছিল সুজয়ের। তার পরে সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু অগস্ট, সেপ্টেম্বর পেরিয়ে এখন অক্টোবর শেষ হওয়ার মুখে। তার পরও সুজয়কে কেন চিকিৎসাধীন থাকতে হচ্ছে, এখনও তাঁর কিসের অসুখ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সে ব্যাপারে জানতে চান ইডি কর্তারা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy