অফিসের ব্যস্ত সময় হলেও অল্প কয়েক জন যাত্রী ট্রেনে ওঠার জন্য প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। ডিসপ্লে বোর্ডে তাঁরা দেখেছেন মিনিটখানেকের মধ্যেই ফুলবাগান অভিমুখে ট্রেন এসে পড়ার কথা। কিন্তু, তাঁদের চোখের সামনে দিয়েই হুস করে বেরিয়ে গেল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো।
প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিনডোর খুলল না। প্ল্যাটফর্মে নামার জন্য ট্রেনের ভিতরে দাঁড়ানো যাত্রীরা দেখলেন ট্রেন স্বাভাবিক গতিতে স্টেশন ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে। এক বার নয়, মঙ্গলবার সকালে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় দু’টি স্টেশনে এমন ঘটনা ঘটেছে। একই ট্রেন প্রথমে করুণাময়ী এবং কিছু পরে বেঙ্গল কেমিক্যাল স্টেশনে না থেমে চলে গিয়েছে ফুলবাগান স্টেশনের দিকে। দীর্ঘ ৮-৯ মাস প্রশিক্ষণের পরেও কর্তব্যরত চালকের এমন ভুল কী করে হল, তা ভেবে পাচ্ছেন না মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
মেট্রো সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ ফুলবাগানগামী একটি ট্রেন সেক্টর -৫ থেকে রওনা হয়ে ১১টা ৩ মিনিট নাগাদ করুণাময়ী স্টেশনে পৌঁছেও সেখানে না থেমে সরাসরি সেন্ট্রাল পার্কে গিয়ে থামে। এর পরে সেটি ঠিক পরবর্তী স্টেশন সিটি সেন্টারে নির্ধারিত সূচি মেনে থামে। কিন্তু আবার পরের স্টেশন বেঙ্গল কেমিক্যালে ১১টা ১০ মিনিট নাগাদ পৌঁছে সেখানে না থেমে সরাসরি সল্টলেক স্টেডিয়াম স্টেশনে গিয়ে থামে। তার পরে সেখান থেকে ফুলবাগান পৌঁছয়। ঘটনায় ধন্দে পড়ে যান ট্রেনের ভিতরে থাকা এবং প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষারত যাত্রীরা। ট্রেন স্টেশনে না থামায় তাঁদের পরের ট্রেন পেতে আরও আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে চালকের অসতর্কতায় ওই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই মেট্রোয় স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থায় ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার কথা থাকলেও সেই ব্যবস্থা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। তা নিয়ে এখনও পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। ফলে চালকদের দক্ষতার উপরেই এখন সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা অনেকটাই নির্ভরশীল। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রের খবর, এমন ঘটনা কেন ঘটল তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চালকের গাফিলতি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।