ফাইল চিত্র।
করোনার পরিস্থিতিতে প্রতিমা নিরঞ্জনের ক্ষেত্রে বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে নিউ টাউনের উপাসনা ঘাটে। বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে দূষণ নিয়ন্ত্রণের উপরে।
নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ) সূত্রের খবর, এ বারের পরিস্থিতি বিচার করে উপাসনা ঘাটকে তিনটি জ়োনে ভাগ করা হয়েছে। একটি জ়োন নির্দিষ্ট করা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। তাঁরা অন্য কোনও জ়োনে যেতে পারবেন না। একটি জ়োন নির্দিষ্ট করা হয়েছে আধিকারিকদের জন্য। তৃতীয় ভাগে থাকছে মূল জ়োন, যেখানে বিসর্জন হবে। সেখানে থাকতে পারবেন সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটির নির্দিষ্ট সংখ্যক লোকজন, বিসর্জনের কাজে যুক্ত কর্মী এবং পুলিশ আধিকারিকেরা। ফেন্সিং এবং দড়ি দিয়ে প্রতিটি জ়োন আলাদা করা হয়েছে।
উপাসনা ঘাটে রাখা হচ্ছে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। থাকছে কয়েকটি খাবারের স্টলও। বিসর্জন প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ঘাটে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এনকেডিএ সূত্রের খবর, প্রতিমা নিয়ে আসা উদ্যোক্তাদের দাঁড় করানো হবে ঘাটের ২০০ মিটার আগে। সেখান থেকে ট্রাকে প্রতিমা নিয়ে আসতে হবে ঘাটের মূল জ়োনে। পুজোর ফুল-পাতা বা অন্য বর্জ্য ফেলার জন্য নির্দিষ্ট বিন বসানো হচ্ছে। সংস্থা সূত্রের খবর, ঘাটে দু’টি স্থায়ী র্যাম্প করা হয়েছে। ট্রাক থেকে প্রতিমা র্যাম্পের মাধ্যমে জলে ফেলা হবে। জলাশয়ে নৌকা নিয়ে প্রস্তুত থাকবেন কর্মীরা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা। প্রতিমা টেনে জলাশয়ের এক দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে রাখা থাকবে ক্রেন এবং ট্রাক। ক্রেনের মাধ্যমে দ্রুত প্রতিমার কাঠামো সরিয়ে ফেলা হবে।
বিসর্জনের জন্য নিউ টাউনে যান চলাচল থাকবে একমুখী। এনকেডিএ, হিডকো এবং বিধাননগর পুলিশের কর্তারা ইতিমধ্যেই উপাসনা ঘাট পরিদর্শন করেছেন। এনকেডিএ-র এক শীর্ষ কর্তা জানান, করোনা পরিস্থিতির নিরিখে সব পরিকল্পনা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy