ফাইল চিত্র।
৭৫ মাইক্রনের কম পুরু প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হয়েছে গোটা রাজ্যে। দমদম পুরসভা ওই ধরনের প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতে অনেক আগেই কাজ শুরু করেছিল। পিছিয়ে ছিল না উত্তর দমদম কিংবা দক্ষিণ দমদম পুরসভাও।
তিন পুরসভাই জানিয়েছে, নাগরিকদের তরফে সাড়া মিলেছে ভালই। কারণ, বাজারগুলিতে ৭৫ মাইক্রনের কম পুরু প্লাস্টিক সে ভাবে চোখে পড়ছে না। তবে পুরকর্তারা জানিয়েছেন, দোকানি ও ক্রেতাদের একাংশ অবশ্য এখনও নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখানোর চেষ্টা করে চলেছেন।
দমদম পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার ও বাসিন্দাদের নিয়ে বৈঠক করেই ক্ষান্ত হননি পুরকর্মীরা। নজরদারিও চালানো হচ্ছে নিয়মিত। নিয়ম ভাঙার খবর এলেই চালানো হচ্ছে অভিযান। বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক। পাশাপাশি, জরিমানা আদায় করাও শুরু করেছে পুরসভা। ইতিমধ্যেই একাধিক দোকানদারের কাছ থেকে তা (৫০০ টাকা) আদায় করা হয়েছে।
বিধি ভাঙার অভিযোগে ক্রেতাদের কাছ থেকে অবশ্য জরিমানা আদায় এখনও শুরু হয়নি। পুরসভা সূত্রের খবর, নিয়মিত প্রতিটি বাজার ও বিভিন্ন দোকানে উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হচ্ছে। এর পরে ক্রেতাদের কাছ থেকেও জরিমানা আদায় করা হবে।
দমদমের এক বাসিন্দা শৈলেন রায় জানান, ৭৫ মাইক্রনের কম পুরু প্লাস্টিকের ব্যবহার অনেকটাই কমেছে। তবে, কিছু মানুষের এখনও পুরনো অভ্যাস রয়ে গিয়েছে। বিশেষত, পুজোর ফুল প্লাস্টিকে ভরে কিনে নিয়ে যাওয়া এবং পরে সেই প্লাস্টিকে ভরেই তা যত্রতত্র ফেলে দেওয়ার অভ্যাস রয়ে গিয়েছে অনেকেরই। তবে পুরকর্তাদের আশা, সেই অভ্যাসেও বদল আনা যাবে।
দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, তাঁরা অনেক আগে থেকেই প্লাস্টিক বর্জনের বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করেছেন। যাতে ভাল সাড়াও মিলেছে। কিন্তু এখনও অনেকে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক পুরোপুরি বর্জন করেননি। এটা কোনও মতেই বরদাস্ত করা হবে না। নিয়মিত অভিযান চলবে। জরিমানাও করা হবে।
নজরদারি বাড়ানো হয়েছে দক্ষিণ দমদমের প্রতিটি ওয়ার্ডেও। কাউন্সিলরদের একাংশ জানান, এলাকার বাজার ও দোকানের ব্যবসায়ীদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। মাঝেমধ্যেই প্রকৃত অবস্থা খতিয়ে দেখতে কাউন্সিলরেরা বাজার-দোকান পরিদর্শন করছেন। আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি সাড়া পাওয়া যাচ্ছে নাগরিকদের তরফে।
একই ভাবে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছে উত্তর দমদম পুরসভাও। যদিও সেখানেও নিয়ম না-মানার ঘটনা মাঝেমধ্যে ঘটছে বলে অভিযোগ। তবে, ওই পুর এলাকায় জরিমানা আদায় এখনও শুরু হয়নি। পুর চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, নাগরিকদের তরফে সাড়া ভালই মিলেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙার চেষ্টা চললেও এখনও জরিমানা আদায়ের পথে হাঁটেনি পুরসভা। তবে নজর রাখা হচ্ছে। সচেতনতার প্রচার বেশি করে চালিয়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy