দক্ষিণ দমদম পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
পুর এলাকার অনেক জায়গায় যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের বালাই নেই। যেখানে রয়েছে, সেখানে তার অবস্থা তথৈবচ। প্রতীক্ষালয়েই দাঁড়িয়ে যাত্রীরা অপেক্ষা করেন, এমন সংখ্যা হাতে গোনা। দক্ষিণ দমদমে যশোর রোড বা দমদম রোডের যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলির দশা এমনই। ফলে প্রতীক্ষালয় থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাস্তায় দাঁড়িয়েই বাসের অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের।
দক্ষিণ দমদম পুরসভা অবশ্য জানিয়েছে, সমস্যা সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল। সংস্কারের পরিকল্পনা চলছে। যদিও সংস্কার করা হলেও সেই প্রতীক্ষালয় যাত্রীরা কতটা ব্যবহার করবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে স্থানীয় স্তরেই।
দমদম অঞ্চলের এক নিত্যযাত্রী কমলেন্দু অধিকারী জানান, প্রয়োজন মতো সর্বত্র যাত্রী প্রতীক্ষালয় নেই। আবার প্রতীক্ষালয় থাকলেও সেখানেই যে বাস দাঁড়াবে, এমন নিশ্চয়তাও নেই। স্থানীয় বাসিন্দা সুস্মিতা গুহর কথায়, ‘‘কোথাও কোথাও প্রতীক্ষালয়গুলির অবস্থা বেহাল। সেগুলি আধুনিক মানের করা প্রয়োজন।’’ নাগেরবাজারের কাছে একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে ডাঁই করে রাখা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সামগ্রী। এক পাশে ঘুমিয়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। বাসগুলিও অবশ্য সেই প্রতীক্ষালয়ের সামনে থামে না। পুরকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রয়োজন মতো জায়গাতেই যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি করা হয়েছিল। তবে জায়গার অপ্রতুলতার কারণেও অনেক জায়গায় তা তৈরি করা যায়নি। নিত্যযাত্রীদের একাংশের মতে, যাত্রী তুলতে যত্রতত্র বাস দাঁড়ানো এবং যাত্রীদেরও যেখানে-সেখানে হাত দেখিয়ে বাস থামানোর প্রবণতা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। পুলিশকর্মীদের একাংশ জানাচ্ছেন, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা সাবধান করলেও অনেকেরই হুঁশ ফেরে না। সমস্যার কথা স্বীকার করে দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ সঞ্জয় দাস জানান, এই বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে। পুর এলাকার বহু যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। সে বিষয়ে তথ্য নিয়ে পরিকল্পনা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy