ঝোড়ো হাওয়ায় কবি নজরুল স্টেশনে ফের উড়ে গিয়েছে শেডের একাংশ। —নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে, এমন সতর্কবার্তা আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। তাই কলকাতা মেট্রোর সব স্টেশনের দায়িত্বে থাকা সুপার এবং শিফ্ট ইন-চার্জদের রবিবার স্টেশনে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ঝড় উপকূলে আছড়ে পড়ার অনেক আগেই শেডের একাংশ উড়ে যাওয়ায় এ দিন সন্ধ্যায় প্রায় দু’ঘণ্টা মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হল।
এ দিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিট পর্যন্ত নিউ গড়িয়া সংলগ্ন কবি সুভাষ থেকে টালিগঞ্জ সংলগ্ন মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। ওই সময়ের মধ্যে মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে মেট্রো চলাচল করে। মেট্রো সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরের দিকে গড়িয়া সংলগ্ন কবি নজরুল স্টেশনে ভাঙা শেডের একাংশ ফের ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে খুলে যায় বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, সপ্তাহ তিনেক আগে, গত ৭ মে সন্ধ্যার ঝড়বৃষ্টিতে ওই স্টেশনেরই শেডের একাংশ উড়ে গিয়েছিল। তার পরে কাগজেকলমে ওই শেডের মেরামতির কাজ শুরু হলেও বাস্তবে সেই কাজ প্রায় কিছুই এগোয়নি বলে অভিযোগ। এ দিনের ঝড়ে শেডের একটি অংশ ফের ভেঙে যাওয়ার পরে সমস্যা মেটাতে খবর দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। তারা বিকেলের পরে কাজ শুরু করায় ওই পথে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। মেট্রো কর্তৃপক্ষ অবশ্য ঝড়ের সতর্কতার কথা জানিয়ে পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান। তাতে অনেকেই মনে করেন, মেট্রোর উড়ালপথে বিপত্তির আশঙ্কায় হয়তো পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে। পরে সমস্যা মিটলে পরিষেবা ফের স্বাভাবিক হওয়ার কথা জানানো হয়।
এ ভাবে শুরুতে পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে পরে তা বদল করায় অনেকেই মেট্রো কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ের অভাব নিয়ে সরব হয়েছেন। ওই ঘটনায় দক্ষিণ শহরতলির যাত্রীরাও কিছুটা ভোগান্তির মুখে পড়েন। তবে ছুটির দিন হওয়ায় এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে মেট্রোয় যাত্রী-সংখ্যা এ দিন এমনিতেই কম ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy