প্রতীকী ছবি।
এক থেকে চার হতে পারতেন পথ দুর্ঘটনায় মৃত যুবক। কিন্তু পরিবারের আপত্তিতে তা সম্ভব হল না। অঙ্গদান নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি যে এখনও জরুরি, তা রবিবার এসএসকেএমের ঘটনায় ফের প্রমাণিত হল।
বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে গত ৭ নভেম্বর থেকে এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন ছিলেন হুগলির মগরার বাসিন্দা, বছর সাতাশের অতনু চক্রবর্তী। শনিবার তাঁর ‘ব্রেন স্টেম ডেথ’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এসএসকেএম সূত্রের খবর, অতনুর দু’টি কিডনি পেয়েছেন সেখানেই চিকিৎসাধীন বছর তিরিশের দুই যুবক। কিডনি প্রতিস্থাপনের পরে দু’জনেরই শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। এসএসকেএম সূত্রের খবর, মৃতের হার্ট ও লিভারও প্রতিস্থাপনযোগ্য ছিল। কিন্তু দীর্ঘ কাউন্সেলিংয়ের পরেও পরিবারের সদস্যেরা সব ক’টি অঙ্গ দিতে রাজি হননি।
সম্প্রতি দু’টি ঘটনায় ধর্মীয় ও সামাজিক কারণ দেখিয়ে অঙ্গদান থেকে পিছিয়ে এসেছিল দু’টি পরিবার। এর পরে সন্তোষপুরের বাসিন্দা অপ্রতিম ঘোষের (৪২) স্ত্রী কোনও রকম কাউন্সেলিং ছাড়া অঙ্গদানে রাজি হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। গত সপ্তাহে সেই তালিকায় যুক্ত হয় মালদহের বাসিন্দা মাম্পি ঘোষের (২৬) নাম। বছর শেষে সাফল্যের ধারা এ দিন ব্যাহত হল বলেই মনে করছেন অঙ্গদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সমাজকর্মীরা। এসএসকেএম সূত্রের খবর, এ দিন কাউন্সেলিং চলাকালীন এমন কিছু ঘটেছে, যা অঙ্গদানের মতো মহৎ কাজে কখনওই কাম্য নয়। বাকি অঙ্গও কেন দান করলেন না, তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে মৃতের পরিবারের দুই সদস্যের মোবাইলে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
‘রোটো’ (রিজিওনাল অর্গান অ্যান্ড টিসু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশন)-র যুগ্ম অধিকর্তা অর্পিতা রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরা আশাবাদী, মানুষের কল্যাণে চিকিৎসকেরা যদি মনে করেন কারও অঙ্গ প্রতিস্থাপন সম্ভব, সে ক্ষেত্রে সকলে এগিয়ে আসবেন। যিনি দু’টি কিডনি দান করেছেন, তাঁর পরিবারের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে বলছি, হৃৎপিণ্ড ও লিভার না পাওয়ায় আরও দু’টি প্রাণ বঞ্চিত হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy