এসএসকেএম হাসপাতাল। ফাইল ছবি।
আপাতত স্থগিত এসএসকেএম হাসপাতালে জরায়ু প্রতিস্থাপন।
সূত্রের খবর, আজ, বুধবার রাজ্যের প্রথম জরায়ু প্রতিস্থাপনটি হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু গোটা প্রক্রিয়ার বিপুল খরচ জোগাবে কে? সেই টানাপড়েনেই আপাতত স্থগিত করা হয়েছে পরিকল্পনা। জানা যাচ্ছে, খরচের বিষয়টি জানানো হবে স্বাস্থ্য ভবনে। সরকারের তরফে সবুজ সঙ্কেত মিললে তবেই প্রতিস্থাপনটি করা সম্ভব হবে।
সূত্রের খবর, সরকারি স্তরে দেশের দ্বিতীয় প্রতিস্থাপনটির জন্য বছর তিনেক আগে থেকে খুব ধীর গতিতে সলতে পাকানোরকাজ শুরু হয়েছিল। পিজিতে চিকিৎসাধীন, গ্রামের বাসিন্দা এক তরুণীকে তাঁর মা জরায়ু দিতে রাজি হওয়ায় আশার আলো দেখেছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে করোনার জন্য বিষয়টি থমকে যায়। অতিমারি-পর্ব মিটতে ফের শুরু হয় তোড়জোড়। মায়ের জরায়ুমেয়ের শরীরে প্রতিস্থাপনের জন্য আইনি অনুমতিও মেলে মাসখানেক আগে। কলকাতায় এসে ওই অস্ত্রোপচার করতে রাজি হন দেশের প্রথম সফল জরায়ু প্রতিস্থাপনকারী চিকিৎসক শৈলেশ পুনটামবেকার। সিদ্ধান্ত হয়, পুণে থেকে ওই চিকিৎসক এ রাজ্যে এসে পিজির চিকিৎসকদের পরামর্শ দেবেন এবং অস্ত্রোপচারে সহযোগিতা করবেন।
সম্প্রতি কলকাতায় স্ত্রী-রোগ চিকিৎসকদের একটি সম্মেলনে এসে এ রাজ্যে সরকারি স্তরে ওই প্রতিস্থাপনের সম্ভাবনার কথা নিজেই জানিয়েছিলেন শৈলেশ। এসএসকেএমের একআধিকারিকের কথায়, ‘‘প্রাথমিক ভাবে একটি দিন স্থির করা হয়েছিল। কিন্তু বিপুল খরচ বহন করা নিয়ে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে, এখনই হাল ছাড়া হচ্ছে না।’’ সূত্রের খবর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পিজির স্ত্রী-রোগ বিভাগের তরফে জানানো হয়, শৈলেশ-সহ পুণে থেকে ১৩-১৪ জন চিকিৎসকের একটি দল জরায়ু প্রতিস্থাপনের জন্য আসবেন। তাঁদের যাতায়াত, এক রাত শহরে থাকা-খাওয়ার খরচ বহন করতে হবে হাসপাতালকে।
জানা যাচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠকও হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, ১৩-১৪ জনের জন্য লক্ষাধিক টাকা খরচ বহন করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁরা দু’-তিন জনের খরচ বহন করতে রাজি হন। কিন্তু অত্যন্ত জটিল এই অস্ত্রোপচারে শৈলেশের পুরো দলকেই প্রয়োজন বলে জানানো হয়। তা হলে বাকি খরচ আসবে কোথা থেকে? সেই জটিলতাতেই আপাতত স্থগিত প্রতিস্থাপন।
যদিও শহরের স্ত্রী-রোগ চিকিৎসকদের একাংশ এ-ও জানাচ্ছেন, এই প্রতিস্থাপনটি হওয়ার অর্থ এটা নয় যে, এর পর থেকে পিজিতে এমন অস্ত্রোপচার হতেই থাকবে। পাশাপাশি, রাজ্যের এই প্রথম প্রতিস্থাপনে ১০০ শতাংশ সাফল্য আসবেই, সেই নিশ্চয়তাও দেওয়া যায় না। তা সত্ত্বেও এই প্রক্রিয়ার সদর্থক দিকটির কথা ভেবে ঝুঁকি নিতে রাজি পিজির চিকিৎসকেরা। কিন্তু এখন অপেক্ষা শুধু টাকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy