Advertisement
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
NKDA

নিউ টাউনের অগম্য জায়গায় মশা মারার তেল ছড়াতে ভরসা ড্রোন

ডেঙ্গি ও চিকুনগুনিয়ার মরসুমের শুরু থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কর্তৃপক্ষ।

এ ভাবেই মশা নিয়ন্ত্রণ করছে ‘নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (এনকেডিএ)।

এ ভাবেই মশা নিয়ন্ত্রণ করছে ‘নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (এনকেডিএ)। —প্রতীকী চিত্র।

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৮
Share: Save:

ড্রোনের মাধ্যমে মশা মারার তেল ছড়ানো হচ্ছে নিউ টাউনের বিভিন্ন এলাকায়। নিউ টাউনের মধ্যে দিয়ে যাওয়া মেট্রোপথ ও ঘন জঙ্গলে এ ভাবেই মশা নিয়ন্ত্রণ করছে ‘নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (এনকেডিএ)। ডেঙ্গি ও চিকুনগুনিয়ার মরসুমের শুরু থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কর্তৃপক্ষ।

সূত্রের খবর, গত বছর এই সময় পর্যন্ত নিউ টাউনে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৬৯। সেখানে এ বছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা তেত্রিশেই আটকে রাখা গিয়েছে বলে দাবি এনকেডিএ-র। তারা জানাচ্ছে, গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোপথের নির্মাণস্থলের, বিশেষত উপরের অংশে যেখানে লাইন পাতা হচ্ছে, সেখানে বিভিন্ন সময়ে জমা জলে মশা জন্মায়। আবার নিউ টাউনে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ঝোপজঙ্গল হয়ে রয়েছে। সাপের উপদ্রবের কারণে সেই সব জায়গায় হেঁটে মশার তেল ছড়ানোয় সমস্যা রয়েছে। তেমন সব জায়গায় ড্রোনের মাধ্যমে মশা মারার তেল স্প্রে করা হচ্ছে।

এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, ‘‘চলতি বছরের জানুয়ারিতে পরীক্ষামূলক ভাবে ড্রোনের মাধ্যমে দুর্ভেদ্য জায়গাগুলিতে মশা মারার তেল দেওয়া হয়েছিল। তাতে ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে। এ বছর আটচল্লিশতম সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি এ পর্যন্ত ঠেকানো গিয়েছে। মেট্রোর নির্মাণপথে জমা জলে জন্মানো মশা মারার কোনও উপায় এত দিন ছিল না। ড্রোনের মাধ্যমে ওই জায়গায় মশা মারার তেল দিয়ে উপকার পাওয়া গিয়েছে।’’

উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভাও বছরখানেক আগে যাদবপুর এলাকায় একটি পরিত্যক্ত, বন্ধ কারখানায় ড্রোনের মাধ্যমে মশার লার্ভা মারার তেল দিয়েছিল। নিউ টাউনের পাশেই বিধাননগর পুর এলাকায় ড্রোনের ব্যবহার করে ডেঙ্গির মশার লার্ভা সন্ধানের ব্যবস্থা আছে। তবে ড্রোনের মাধ্যমে মশার লার্ভা মারার তেল দেওয়ার ব্যবস্থা এখনও সেখানে চালু হয়নি বলেই খবর।

এনকেডিএ-র আধিকারিকেরা জানান, মশা জন্মানোর জায়গার মধ্যে নিউ টাউনকে ঘিরে থাকা খালগুলিকে ঢেকে সেগুলির উপরে পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। কোথাও সেই কাজ চলছে, কোথাও শেষ হয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে, সাফাইয়ের কাজে কর্মী-সংখ্যাও বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার কথা জানানো হয়েছে এনকেডিএ-র তরফে। এমনকি, এনকেডিএ-র অধীনস্থ ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন এলাকাগুলির সংযোগস্থলেও কিছু কিছু জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে জঞ্জাল জমে থাকে।

সেই সব জায়গায় দিনে দু’বার করে সাফাইয়ের কাজ চলছে বলেই দাবি এনকেডিএ-র।

উল্লেখ্য, পরিকল্পিত শহর নিউ টাউনে এখনও অনেক জায়গাতেই বড় বড় নির্মাণের কাজ চলছে। সেই সব জায়গায় মিস্ত্রি-শ্রমিকেরা নির্মাণের কাজের জন্য নির্মাণস্থলের ভিতরে জল জমিয়ে রাখেন। যেখানে ডেঙ্গির মশা জন্মানোর আশঙ্কা থাকে। তা নিয়ে আবাসিকদের মধ্যেও অসন্তোষ রয়েছে। এনকেডিএ জানাচ্ছে, ডেঙ্গির মোকাবিলায় সবাইকেই সচেতন করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও নিষেধ না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Mosquito Drone Dengue Chikungunya
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy