Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

অস্ত্রোপচারে অগ্ন্যাশয় থেকে বেরোল পাথর

গত দু’বছর ধরে অসহ্য পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার করন্দি গ্রামের বাসিন্দা আসমা খাতুন। আসমার স্বামী কলকাতা পুলিশে কর্মরত। তিনি জানান, দু’বছর আগে প্রথম বার এমন যন্ত্রণা হলেও বছরে দু’-তিন বার যন্ত্রণা সহ্য করতে হত তাঁকে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৯ ০২:২০
Share: Save:

অগ্ন্যাশয়ের (প্যানক্রিয়াস) মধ্যে থেকে বেরোলো পাঁচ সেন্টিমিটার আয়তনের একটি পাথর! তার সঙ্গে একাধিক অজস্র ছোট ছোট পাথর। সম্প্রতি সে সবই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বার করে মধ্য তিরিশের এক রোগিণীকে সুস্থ করে ঘরে ফেরাল বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতাল।

গত দু’বছর ধরে অসহ্য পেটের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার করন্দি গ্রামের বাসিন্দা আসমা খাতুন। আসমার স্বামী কলকাতা পুলিশে কর্মরত। তিনি জানান, দু’বছর আগে প্রথম বার এমন যন্ত্রণা হলেও বছরে দু’-তিন বার যন্ত্রণা সহ্য করতে হত তাঁকে। অসহ্য সেই যন্ত্রণার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছিল আসমার। দিন দু’য়েক আগে অস্ত্রোপচারের পরে ঘরে ফিরেছেন তিনি। আপাতত চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রামে থাকবেন কিছু দিন।

ওই হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক সঞ্জয় মণ্ডলের নেতৃত্বে এক চিকিৎসক দল আসমার অস্ত্রোপচার করে। সঞ্জয়বাবু বলেন, ‘‘ওই রোগী ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিসে ভুগছিলেন। নালিপথে অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন খাদ্যবস্তু পরিপাকের জন্য যায়, সেখানেই পাথরগুলি জমা ছিল। ফ্রেজ় পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারটি হয়েছে। পুরো অস্ত্রোপচারে চার ঘণ্টা লেগেছে।’’ তিনি জানান, অগ্ন্যাশয়ে এত বড় মাপের পাথর সচরাচর শোনা যায় না।

ওই চিকিৎসকের মতে, ফ্রেজ় পদ্ধতিতে পাথর বার করার পরে নষ্ট হওয়া অগ্ন্যাশয়ের মাথা বাদ দেওয়া হয়। নালিপথ খুলে বাইপাস করা হয় খাদ্যনালির সঙ্গে। ফলে পাথর জমার আশঙ্কাও থাকে না। গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘‘এমন আকারের পাথর খুব বেশি শোনা যায় না। সতর্কতার সঙ্গে তা বার করতে হয়।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Operation Stone Pancreas
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE