Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Mysterious Death

উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল কি নেপালের মহিলার, জানতে ডিএনএ পরীক্ষা

গত ১৪ নভেম্বর বাগুইআটি থানা এলাকার জগৎপুরে একটি বাড়ির শৌচাগার থেকে কঙ্কাল উদ্ধার করেছিল পুলিশ। শৌচাগারের ভিতরে একটি সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করা ড্রামের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল ওই কঙ্কালটি।

An image of Death

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:৩২
Share: Save:

বিধাননগর এলাকার জগৎপুরে কঙ্কাল-রহস্যের তদন্তে নেমে বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। যার উপরে ভিত্তি করে তাঁদের অনুমান, কঙ্কালটি যে মহিলার, তিনি খুন হয়েছিলেন। তিনি নেপালের বাসিন্দা বলেও প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। নেপালে তাঁর বাবা-মায়ের খোঁজও মিলেছে। আপাতত রহস্যের জট পুরোপুরি ছাড়াতে ও মৃতার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে এক দম্পতির ডিএনএ পরীক্ষা করাতে চাইছে পুলিশ। সেই কারণে তাঁদের নেপাল থেকে শহরে আনানোর কথাও ভাবা হচ্ছে।

গত ১৪ নভেম্বর বাগুইআটি থানা এলাকার জগৎপুরে একটি বাড়ির শৌচাগার থেকে কঙ্কাল উদ্ধার করেছিল পুলিশ। শৌচাগারের ভিতরে একটি সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করা ড্রামের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল ওই কঙ্কালটি। সেটি উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তদন্তকারীরা জেনে যান, তা এক মহিলার। কিন্তু তাঁর পরিচয় সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা যাচ্ছিল না।

বিধাননগর কমিশনারেটের দাবি, মহিলার পরিচয় জানা গিয়েছে, তবে তা এখনই গোয়েন্দারা প্রকাশ করতে নারাজ। সূত্রের খবর, ওই মহিলাকে আনা হয়েছিল নেপাল থেকে। প্রাথমিক ভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে ধরে নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ওই বাড়িটি এক হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসকের। সেটি অনেক দিন আগে ভাড়া নিয়েছিলেন নেপালের এক দম্পতি। কিন্তু বছর দেড়েক আগে বাড়ির মালিককে না জানিয়েই তাঁরা
ঘরে তালা দিয়ে চলে যান। নেপালের যে দম্পতিকে ওই মহিলার মা-বাবা বলে মনে করা হচ্ছে, তাঁরা জানিয়েছেন, স্থানীয় থানায় মেয়ে নিখোঁজের অভিযোগও তাঁরা দায়ের করেছিলেন।

পুলিশ কঙ্কাল-কাণ্ডের তদন্ত শুরু করে মহারাষ্ট্র থেকে অমিত তামাং নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। যার মাধ্যমে ওই দম্পতি ওই ডাক্তারের বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে কী হত, কারা যাতায়াত করতেন— তা নিয়ে চলছে জল্পনা। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত অমিত পুলিশকে জানিয়েছে, ওই তরুণী ওই বাড়ির ভিতরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন। কিন্তু তার সেই দাবিতে পুরোপুরি আস্থা রাখছেন না তদন্তকারীরা। কারণ ওই দম্পতি গা-ঢাকা দেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে অমিতও বাড়ি ছেড়ে দিয়ে মহারাষ্ট্রে চলে যায়। সেটাই সন্দেহ বাড়িয়েছে পুলিশের।

ওই ভাড়ার ফ্ল্যাটে দেহ ব্যবসা চালানো হচ্ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এমনকি, ওই মহিলাও ওই পেশায় জড়িত ছিলেন বলে ধারণা পুলিশের। তাদের মতে, মহিলার আত্মঘাতী হওয়ার দাবি ঠিক নয়। তাঁর মৃত্যুর পরে কেন পুলিশকে না জানিয়ে বাড়ির সকলে গা ঢাকা দেন, তা-ও অমিতের থেকে জানতে চান তদন্তকারীরা। কিন্তু সে ঠিক উত্তর দিচ্ছে না বলেই দাবি পুলিশের। তারা জানায়, অমিতকে গা ঢাকা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল নেপালের ওই দম্পতিই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy