এক দিকে কালীপুজো ও ধনতেরাসের কেনাকাটার ভিড়, অন্য দিকে গুরুত্বপূর্ণ রাজপথে ফাটল। দু’য়ে মিলে মঙ্গলবার দুপুরে যানজটে নাজেহাল কলকাতা।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা সার দিয়ে দাঁড়িয়ে বাস-ট্যাক্সি। তাতে আটকে গলদঘর্ম, দিশাহারা মানুষ। কেউ বেরিয়েছেন অফিসে, কেউ স্কুল-কলেজ-হাসপাতালে, কেউ বা বা অন্য প্রয়োজনে। ঘন ঘন টেলিফোনে অন্য প্রান্তে থাকা মানুষকে রাস্তার পরিস্থিতি এবং দেরির কারণ ব্যাখ্যা করছেন তাঁরা। উদ্বিগ্ন হয়ে ঘড়ি দেখছেন। উগরে দিচ্ছেন নিষ্ফল রাগ। কিন্তু গাড়ির চাকা নড়ছে না।
পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল আটটা নাগাদ সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের কাছে রাস্তায় ফাটল দেখা যায়। ফলে রাস্তার বেশ কিছুটা অংশ ঘিরে রাখতে হয়। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় গাড়ির গতি। কাজের দিনে বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে ব্যস্ত ওই রাজপথে বাড়তে থাকে যানবাহনের সংখ্যা। এক সময়ে গোটা রাস্তাই যানজটে স্তব্ধ হয়ে যায়। বেলা সাড়ে এগারোটার পর থেকে অগত্যা বাধ্য হয়ে পুলিশ শ্যামবাজার মোড় থেকে কিছু বাস চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে ঢুকতে না দিয়ে ঘুরিয়ে দেয়। এ দিকে, দীপাবলির কেনাকাটার জন্য এ দিন সকাল থেকেই বন্ধ রাখতে হয়েছিল বড়বাজারের কালাকার স্ট্রিট।
একাধিক প্রধান রাস্তা এ ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার জের এসে পড়ে মহাত্মা গাঁধী রোড, আমহার্স্ট স্ট্রিট এবং বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে। বেশির ভাগ বাস এই রাস্তাগুলি দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়ায় তুমুল যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেকেই বিরক্ত হয়ে বাস থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন। অনেকে কোথায় নামবেন, কী করে গন্তব্যে যাবেন বুঝতে না পেরে উত্তেজিত হয়ে বাসের চালক-কন্ডাক্টরের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। লালবাজার সূত্রের খবর, নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট, বিধান সরণি, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়েও সকাল থেকে যানচলাচল ধীরে ছিল। যদুবাবুর বাজারে ভিড়ের জেরে গাড়ি আস্তে চলেছে আশুতোষ মুখার্জি রোড, শরৎ বসু রোড, এ জে সি বসু রোডেও। সন্ধে পর্যন্ত সেই যানজট কাটেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy