— প্রতীকী চিত্র।
তথ্য এবং তার গভীর বিশ্লেষণের উপরে নির্ভর করেই আগামী দিনে এগিয়ে যাবে পৃথিবী। শনিবার বসু বিজ্ঞান মন্দিরের ১০৮তম প্রতিষ্ঠা দিবসে ৮৫তম আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু স্মারক বক্তৃতায় কার্যত এ কথাই বললেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী শঙ্করকুমার পাল। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন অধিকর্তা ও বর্তমান প্রেসিডেন্টের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রচুর তথ্য এবং তার গভীর বিশ্লেষণ— দু’টিই জরুরি। এই কাজের ক্ষেত্রে প্রাথমিক শর্ত হল যন্ত্রকে ‘প্যাটার্ন’ চিনতে শেখানো। তবেই বিপুল তথ্যের মধ্য থেকে যন্ত্র ঠিক জিনিসটি চিনে নিতে পারবে।
এ দিনের বক্তৃতায় গত প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে কী ভাবে যন্ত্র ক্রমাগত ‘বুদ্ধিমান’ হয়ে উঠেছে সে কথাও তুলে ধরেছেন এই প্রবীণ কম্পিউটার বিজ্ঞানী। সত্তরের দশকের ‘প্যাটার্ন রিকগশনিশন’ থেকে বর্তমানের ‘ডেটা লার্নিং’ পদ্ধতির বিকাশের বিস্তারিত বিবরণও দিয়েছেন তিনি। কী ভাবে যন্ত্র এই কাজ করে, তা-ও স্বল্প সময়ে তিনি দেখান।
এ দিন অনুষ্ঠানের শুরুতে গত এক বছরে বসু বিজ্ঞান মন্দিরের (বোস ইনস্টিটিউট) সাফল্যের কথা তুলে ধরেন অধিকর্তা অধ্যাপক কৌস্তুভ সান্যাল। চলতি বছরেই শতাব্দীপ্রাচীন এই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে আসীন হওয়া অধ্যাপক সান্যাল জানান, গত এক বছরে অধ্যাপক অনির্বাণ ভুঁইয়া, অধ্যাপক অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অধ্যাপক অভ্রজ্যোতি ঘোষ, অধ্যাপক অচিন্ত্য সিংহ, অধ্যাপক শুভ্রাংশু চট্টোপাধ্যায়-সহ অনেকেই জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে গবেষণার কাজ করেছেন। বিভিন্ন পুরস্কার এবং ফেলোশিপও পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা। এক বছরে ২৮ জন পিএইচডি লাভ করেছেন।
এ দিনের স্মারক বক্তৃতায় সভাপতিত্ব করেছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। উপস্থিত ছিলেন আরও অনেক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy