Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Dengue in South Dum Dum

ফাঁকা জমিতে মশার ‘চাষ’, ডেঙ্গি বাড়ছে দক্ষিণ দমদমে

দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় দুই শতাধিক বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে এক জনের মৃত্যুও হয়েছে। এখন প্রতিদিন গড়ে ১০ জন করে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে খবর।

An image of Mosquito

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৩ ০৬:০১
Share: Save:

ফাঁকা জমি পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। সেখানে গজিয়েছে ঝোপঝাড়, জঙ্গল। তার মধ্যে ফেলা হচ্ছে আবর্জনাও। বৃষ্টির জল জমে কার্যত মশার কারখানায় পরিণত হচ্ছে সেই সব জমি। প্রতি বছরের মতো এ বারও এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার কর্মী থেকে আধিকারিকেরা। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, এই ধরনের জমির মালিকদের নোটিস পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা যদি নোটিস পেয়েও জমি সময় মতো পরিষ্কার না করেন, তা হলে পুরকর্মীরা সেই কাজ করে দেবেন। বাসিন্দাদের অবশ্য বক্তব্য, মৌখিক আশ্বাস না দিয়ে এ বার কাজ করে দেখাক পুরসভা।

দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় দুই শতাধিক বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে এক জনের মৃত্যুও হয়েছে। এখন প্রতিদিন গড়ে ১০ জন করে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে খবর। পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একাধিক বাসিন্দার জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। দিনকয়েক আগে চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস, স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি অঞ্জনা রক্ষিত ও পুর আধিকারিকেরা এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখানেই ঝোপ-জঙ্গলে ভরা একটি অব্যবহৃত জমি নজরে আসে তাঁদের। দ্রুত সেই জমি সাফাইয়ের কাজ শুরু করা হয়। স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি অঞ্জনা জানান, তাঁর ওয়ার্ডে ফাঁকা জমির সংখ্যা তুলনায় বেশি। সেই সমস্ত জমির ঝোপ-জঙ্গল নিয়মিত সাফ করা হচ্ছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিগুলি পরিষ্কার করতে মালিকদের বলা হচ্ছে। কেউ কেউ সেই কাজ করছেন। পুরসভাও বহু জমি পরিষ্কার করে দিচ্ছে। তবে, শুধু একটি ওয়ার্ডে নয়, একাধিক অঞ্চলেই এমন অবস্থা বলে অভিযোগ।

দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার বিভিন্ন বহুতলের প্রতিনিধি ও নির্মাণকারীদের নিয়ে লেক টাউন, নাগেরবাজার এবং দমদম থানার পুলিশ আধিকারিকেরা বৈঠক করেছেন। তাতে ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাচক্রে, একাধিক বহুতল বাড়িতে পুরকর্মীদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি, একাধিক নির্মাণস্থলে জল জমে থাকার অভিযোগও পেয়েছিল পুরসভা।

পুর চেয়ারম্যান পারিষদ সঞ্জয় দাস জানান, ব্যক্তি মালিকানাধীন অব্যবহৃত জমিগুলির ক্ষেত্রে সাফাইয়ের জন্য মালিকদের বার বার বলা হচ্ছে। নোটিসও পাঠানো হচ্ছে। তাতে কাজ না হলে এ বার প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে পুরসভা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE