— প্রতীকী চিত্র।
কলকাতায় ফের মৃত্যু ডেঙ্গি আক্রান্তের। এ বার মৃত ১২ বছরের কিশোরী। শনিবার এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে। সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে সূত্রের খবর।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম ডোনা দাস। দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড়ের বাসিন্দা। বেশ কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল সে। সঙ্গে বমিও হচ্ছিল। স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখানো হয়। তিনিই চিকিৎসা করছিলেন। ২১ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার ডেঙ্গির রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অভিযোগ, তার পরেও ডেঙ্গির জন্য অন্য কোনও ব্যবস্থা নেননি চিকিৎসক। জ্বর এবং বমির ওষুধ দিয়েছিলেন।
শনিবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয় ডোনা। ২টো নাগাদ তাকে বাঙুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সিসিইউতে নিয়ে যাওয়ার আগে জরুরি বিভাগেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর।
কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ২৪ পরগনা নিয়ে চিন্তিত জেলা প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এই তিনটি জেলায় ডেঙ্গি ভাইরাস অতি সক্রিয়। প্রায় প্রতি দিনই শতাধিক মানুষ মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভিড় বাড়ছে হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। তিন জেলার মধ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায়। যা আলাদা করে প্রশাসনকে চিন্তায় রেখেছে।
তিনটি জেলায় মোট আটটি ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। মুর্শিদাবাদের সুতি, লালগোলা, ভগবানগোলা ব্লক, নদিয়ার রানাঘাট, হরিণঘাটা ব্লক এবং উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণ দমদম, বনগাঁ এবং বিধাননগরে ডেঙ্গি তুলনায় অনেক বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy