বয়সের গেরোয় বাতিল হতে বসা হলুদ ট্যাক্সির চালকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় হলুদ ক্যাব চালু করেছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি ওই ক্যাব রাস্তায় নেমেছে। সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ওই ক্যাব চালু হলেও সাধারণ ট্যাক্সিচালকেরা কী ভাবে ওই ব্যবস্থার সুফল পাবেন, তা স্পষ্ট করেনি সরকার।
এ নিয়ে পরিবহণ দফতরকে চিঠি দেওয়া হলেও তার সদুত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ এআইটিইউসি-র হলুদ ট্যাক্সিচালক সংগঠনের। ট্যাক্সিচালকদের স্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে সরকারি তরফে সাড়া না মিললে পরিবহণ দফতরের সামনে ধর্না কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে বলে শুক্রবার জানালেন ওই বামপন্থী সংগঠনের নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা মিটলেই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হতে পারে বলে খবর।
ওই সংগঠনের অভিযোগ, বেসরকারি সংস্থার ব্যবসার সুরাহার স্বার্থে সরকারি নির্দেশিকায় বদল আনা হলেও ওই প্রক্রিয়ায় কোনও ট্যাক্সিচালক সংগঠনকে যুক্ত করা হয়নি। অভিযোগ, চালকদের আয়ের নিরাপত্তা এবং সামাজিক সুরক্ষার বিষয়ে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়। হলুদ ট্যাক্সির পরিষেবা বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে কিনা, সেই আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।
হলুদ ট্যাক্সির চালকদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়াকে এ ভাবে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে না দিয়ে স্বচ্ছ অবস্থান নেওয়ার দাবি তুলেছে সংগঠন। অ্যাপ পরিষেবার আওতায় অটোকে যুক্ত করা হলে বিরোধিতা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পরিবহণ বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষার বদলে সরকার সব ক্ষেত্রে চোখ বুজে বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। নওলকিশোর বলেন, ‘‘বেসরকারি সংস্থার অ্যাপের আওতায় অটো এলে বাসস্ট্যান্ড, মেট্রো স্টেশন সংযুক্তির মাধ্যম হিসেবে আঞ্চলিক পরিবহণের যে ধারণা থেকে অটো চালু হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হবে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)