প্রতীকী ছবি।
এ বছর স্নাতক স্তরে প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা ৩০ সেপ্টেম্বর। উচ্চশিক্ষা দফতর জানিয়েছে, ১ অক্টোবর থেকে ক্লাস শুরু করতে হবে। কিন্তু কলেজে কলেজে বেশ কিছু বিষয়ের আসন এখনও ফাঁকা। প্রচুর সংরক্ষিত আসনও খালি।
এই পরিস্থিতিতে কোনও কোনও কলেজ ভর্তির পোর্টাল ফের খোলার আবেদন জানাচ্ছে উচ্চশিক্ষা দফতরে। সংরক্ষিত ফাঁকা আসনগুলিকে অসংরক্ষিত হিসাবে ঘোষণা করার আবেদনও করছে কেউ কেউ। নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী জানালেন, বেশ কিছু সংরক্ষিত আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। গণিত, বাংলা, দর্শন ও সংস্কৃতের কিছু আসনও খালি। ভর্তির পোর্টাল আবার খোলার অনুমতি চেয়ে তাঁরা উচ্চশিক্ষা দফতরে আবেদন জানিয়েছেন। মহেশতলা কলেজের অধ্যক্ষা রুম্পা দাস জানালেন, অর্থনীতিতে এখনও এক জনও ভর্তি হননি। সংস্কৃতে হয়েছেন এক জন। দর্শনে দু’জন। সংরক্ষিত কিছু আসনও ফাঁকা। অন্তত ১৬০টি আসন অসংরক্ষিত করার অনুমতি চেয়েছেন তিনি। আসন ভরাতে ভর্তির পোর্টাল খোলার অনুমতি চাওয়া নিয়েও ভাবছেন।
বেহালার বিবেকানন্দ কলেজ ফর উইমেনে দর্শনের আসন ৪৯টি। ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন। সংস্কৃতের আসনও ৪৯টি। পাঁচটি ভরেছে। অধ্যক্ষা সোমা ভট্টাচার্য জানালেন, সংস্কৃতের চাহিদা দিনে দিনে কমছে। ওই কলেজেও সংরক্ষিত আসন বেশ কিছু খালি। বেথুন কলেজের অধ্যক্ষা
কৃষ্ণা রায় জানালেন, হিন্দি ও সংস্কৃতে বেশ কম ভর্তি হয়েছে। সংরক্ষিত আসনও কিছু খালি। সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল কর জানান, দর্শন ও সংস্কৃতে বেশ কিছু আসন খালি রয়েছে।
লেডি ব্রেবোর্নে অবশ্য সব বিষয়েরই আসন প্রায় ভর্তি বলে জানালেন অধ্যক্ষা শিউলি সরকার। তবে তাঁর আশঙ্কা, যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সির ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হলে কিছু আসন ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। তাঁর ব্যাখ্যা, লেডি ব্রেবোর্নে ভর্তি হয়ে অনেকেই পরে যাদবপুর বা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান। ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারি পড়তেও যান অনেকে। শিউলি জানালেন, সংরক্ষিত আসন কিছু ফাঁকা রয়েছে। সেগুলি অসংরক্ষিত করার আবেদন করছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy