বার করে আনা হচ্ছে প্রৌঢ়ার দেহ। বুধবার, পর্ণশ্রীতে। —নিজস্ব চিত্র
ঘরের ভিতরে চলছে টিভি। মেঝেয় রাখা মুড়ির কৌটো। পাশেই শৌচাগারের মেঝেয় পড়ে মৃতদেহ। বুধবার পর্ণশ্রীর পারুইপোকা রোডে এই অবস্থাতেই এক প্রৌঢ়ার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধল। পর্ণশ্রী থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই প্রৌঢ়ার নাম অঞ্জনা ধর (৬১)। পারুইপোকা রোডে তাঁর বাপের বাড়ির কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। তাঁর স্বামী অসিত ধর কর্মসূত্রে গ্যাংটকে রয়েছেন। একমাত্র ছেলে নাগার্জুন রাজস্থানের জয়পুরে বি টেক পড়েন। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, গত পরশু, অর্থাৎ সোমবার সকালে প্রৌঢ়াকে শেষবার তাঁরা দেখেছিলেন। অঞ্জনাদেবী যে বাড়িতে থাকেন, সেটির মালিক সঞ্জীব ধর বলেন, ‘‘ভাড়া নেওয়া, এমনি যাতায়াতের পথে সাক্ষাৎ ছাড়া ওঁর সঙ্গে বিশেষ দেখা হত না। পরশুর পর থেকে আর দেখিনি ওঁকে। আজ সকালে দেখি নীচের ঘর থেকে প্রবল দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। আমরাই পুলিশে খবর দিই।”
পর্ণশ্রী থানা সূত্রের দাবি, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা দেখে, প্রৌঢ়ার ঘর ভিতর থেকে বন্ধ। দরজা ভেঙে ঢুকলে শৌচালয়ে দেহটি পাওয়া যায়। প্রাথমিক ভাবে দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তবে ময়না-তদন্তের পাশাপাশি ঘরের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, প্রৌঢ়ার বাড়ির সামনে ভিড় করেছেন স্থানীয়েরা। প্রবল দুর্গন্ধে ওই চত্বরে টেকাই দায়।
দুপুর আড়াইটেয় থানা খবর পেলেও মৃতদেহ উদ্ধারে পুলিশের গাড়ি আসে বিকেল পৌনে পাঁচটায়। গত কয়েক মাসে শহরে একের পর এক বয়স্কদের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তৎপর হয়েছে পুলিশ। নয়া কার্যবিধি জারি করে কলকাতা পুলিশ এলাকায় বয়স্কদের নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া, প্রয়োজনে চিকিৎসা করানোর জন্য থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। তবে বাড়িতে একা বসবাসকারী অঞ্জনাদেবীর প্রয়োজন সম্পর্কিত কোনও কথা থানায় জানানো হয়েছিল কি না এবং মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy