প্রতীকী ছবি
বছর সত্তরের এক বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার করল টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। রবিবার রাতে রানি ভবানী রোডের বাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে একাই থাকতেন সোনারানি দাস নামে ওই বৃদ্ধা। তাঁর ছেলে থাকেন আমেরিকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন ধরে ওই বৃদ্ধার পড়শিরা দুর্গন্ধ পেলেও প্রথমে বিশেষ গুরুত্ব দেননি। কিন্তু রবিবার রাতে আর টিকতে না-পেরে তাঁরা গন্ধের উৎস খোঁজার চেষ্টা করেন। শেষে সোনারানিদেবীর বাড়ির কাছে আসতেই তাঁদের সন্দেহ হয়। তাঁরা থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঢুকে শোয়ার ঘর থেকে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি কালো হয়ে গিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে সেটি শনাক্তও করা যায়নি। মৃত্যুর কারণ জানতে দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা আবহে অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাই বাড়িতে একা থাকছেন। কারও দেখভালের জন্য অন্য সময়ে আয়া থাকলেও লকডাউনে তাঁরা বাড়ি চলে যাওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। ফলে একা থাকতে থাকতে সেই বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে পড়লেও আত্মীয়স্বজনেরা জানতে পারছেন না। আবার অনেক জায়গায় কেউ অসুস্থ হয়েছেন শুনলেই সকলে ভাবছেন, তাঁর করোনা ধরা পড়েছে। ফলে সেই বাড়ির ধারেকাছে যাচ্ছেন না তাঁরা। এতেও বাড়ছে একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সমস্যা। এমনও ঘটেছে, অনেকে মারা গেলেও যতক্ষণে খবর পেয়ে পুলিশ আসছে, ততক্ষণে দেহে পচন ধরে গিয়েছে।
ঠিক যেমনটা ঘটেছে শনিবার, যাদবপুর থানা এলাকার দেশপ্রাণ শাসমল রোডে। সেখানকার একটি বাড়ি থেকে বছর আটষট্টির এক বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে আশপাশের লোকজন থানায় জানান। পুলিশ জেনেছে, বৃদ্ধার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়া মাঝেমধ্যে এসে তাঁর খবর নিতেন। কিন্তু, করোনার মধ্যে আসতে না-পারায় ওই বৃদ্ধা কবে অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন, জানতে পারেননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy