—প্রতীকী ছবি।
সকালে ফ্ল্যাটের পাশের সরু গলিতে এক তরুণীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে কসবা থানার নস্করহাট মধ্যপাড়ায়। মৃতার নাম কুসুমকুমারী গুপ্ত (২২)। ফ্ল্যাটের চারতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। ডিসি (এসএসডি) রশিদ মুনির খান বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও ময়না-তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই সব স্পষ্ট হবে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুসুমকুমারীর সঙ্গে বছর দেড়েক আগে বিয়ে হয়েছিল পেশায় কেটারিং ব্যবসায়ী রাজকুমার গুপ্তের। তাঁরা নস্করহাট মধ্যপাড়ায় একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। ওই দম্পতির একটি তিন মাসের সন্তান রয়েছে। সে সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। দিন তিনেক আগে বাড়ি ফিরেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আগামী ৭ ডিসেম্বর লখনউতে বিয়ে ঠিক হয়েছে কুসুমের বোনের। বোনের বিয়েতে লখনউ যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু বাচ্চা অসুস্থ থাকায় স্ত্রীকে বারণ করেছিলেন রাজকুমার। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তিও চলছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসার কাজে জামশেদপুর যাবেন বলে এ দিন ভোর পাঁচটা নাগাদ বাড়ি থেকে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেন রাজকুমার। নস্করহাট মধ্যপাড়ার ওই ফ্ল্যাটেই থাকেন কুসুমের শ্বশুর-শাশুড়ি। সকালে রাস্তায় চেঁচামেচি শুনে তাঁরা নেমে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন তাঁদের বৌমা। খবর পেয়ে মাঝপথ থেকে ফিরে আসেন রাজকুমার। পুলিশের অনুমান, বোনের বিয়েতে না যেতে পারার হতাশা থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ওই তরুণী গৃহবধূ। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy