আগামী জানুয়ারি মাসেই ভেঙে ফেলা হবে টালা সেতু। ফাইল চিত্র
আগামী ৪-৫ জানুয়ারি থেকে টালা সেতু ভাঙার কাজ শুরু হবে। শনিবার রাজ্য পরিবহণ দফতরের আহ্বানে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ দিনের ওই বৈঠকে পূর্ত, পুর ও নগরোন্নয়ন, রাজ্য পুলিশ, কেএমডিএ, রেল, কলকাতা পুলিশ, বিধাননগর পুলিশ, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এবং কলকাতা পুরসভার পদস্থ আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। ভাঙার কাজ শুরু হবে ৪ অথবা ৫ জানুয়ারি থেকে। সেতু ভাঙা এবং নতুন করে গড়ার যাবতীয় খরচ বহন করবে রাজ্যের পূর্ত দফতর।
সেতুটি ভাঙার সময়ে যান চলাচল কোন রাস্তা দিয়ে হবে তার একটি রূপরেখাও এ দিন তৈরি করা হয়েছে। এ নিয়ে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে একাধিক বার আলোচনা হয়েছে পরিবহণ দফতরের। পুলিশ ও পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে উত্তরমুখী বাস এবং ছোট গাড়ি চিৎপুরের লকগেট উড়ালপুল ধরে বিটি রোডের দিকে যাবে। ওই উড়ালপুলে স্পিড লিমিট থাকবে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। দক্ষিণমুখী বাস ও ছোট গাড়ি কলকাতায় ঢুকবে বেলগাছিয়া সেতু ধরে।
বৈঠকে লরির যাতায়াত নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। লরি চলাচলের জন্য চিৎপুর রেল ইয়ার্ডের পাশে ৩০ ফুট চওড়া আলাদা রাস্তা তৈরি করা হবে। সেখান দিয়ে দু’দিকেই লরি চলাচল করবে। রেলের অনুমতি নিয়ে ওই রাস্তা তৈরি করবে পূর্ত দফতর। তার খরচও বহন করবে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: নির্মীয়মাণ রেস্তরাঁয় আগুন, আতঙ্ক
টালা সেতু ভাঙতে হবে এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই দফায় দফায় পূর্ত দফতরের সঙ্গে বৈঠক হয় কলকাতা পুর প্রশাসনের। পুরসভা সূত্রের খবর, পলতা থেকে তিনটি বড় মাপের পাইপলাইন ঢুকেছে টালার জলাধারে। আর টালা থেকে বেরিয়ে পরিস্রুত পানীয় জলের সাতটি পাইপলাইনের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন স্থানে জল সরবরাহ হচ্ছে। সেতু ভাঙার সময়ে সেই সব পাইপলাইন যাতে সুরক্ষিত থাকে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার কথাও বলা হয়েছে বৈঠকে। পূর্ত দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব নবীন প্রকাশ, পরিবহণ সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমদের সে সব পুরসভার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়। পানীয় জল সরবরাহে যাতে কোনও ভাবেই বিঘ্ন না ঘটে আগামী পুরভোটের কথা মাথায় রেখে সে ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জমি জটিলতায় বাতিল প্রকল্প
পুরকর্তারা জানাচ্ছেন, নতুন সেতু গড়ার সময়ে জলের পাইপলাইনের ওজন বুঝে তা করতে হবে। নতুন সেতুর পাশ দিয়েই জলের পরিষেবা লাইন যাবে। তাই ১২০০ মিলিমিটার ব্যাসের পাইপ এবং তার ভিতর দিয়ে যাওয়া জল, দুইয়ের ওজনের বহন ক্ষমতার কথা মাথায় রেখে সেতুর নকশা চূড়ান্ত করতে হবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে জল সরবরাহের পরিধি আরও বাড়বে। ফলে পলতা থেকে আসা পাইপের সংখ্যা এবং টালা থেকে পানীয় জল সরবরাহের লাইন আরও বাড়তে পারে। এ দিনের বৈঠকে সে সব প্রসঙ্গও উঠে এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy