গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বারাসতের বামুনমুড়ো এলাকায় জঞ্জাল ফেলা নিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষকে। ফাইল ছবি।
গণ-বিরোধিতার জেরে নির্দিষ্ট এলাকায় জঞ্জাল ফেলতে পারছে না পুরসভা। প্রায় প্রতি মাসেই এ জন্য একাধিক দিন কাজ বন্ধ থাকছে। যার ফলে কাজে এসেও বসে থাকতে হচ্ছে আবর্জনা ফেলার গাড়িচালক ও দিনমজুরদের। আর তার জন্য ওই সব দিনে কাজ না থাকায় মাসের শেষে কমে যাচ্ছে বেতনের পরিমাণও। তার জেরেই ক্ষুব্ধ ওই দিনমজুরেরা। দ্রুত জট কাটিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি বারাসত পুর কর্তৃপক্ষের।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বারাসতের বামুনমুড়ো এলাকায় জঞ্জাল ফেলা নিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষকে। বামুনমুড়োয় আগে যেখানে জঞ্জাল ফেলা হত, সেটি পঞ্চায়েত এলাকা। সেখানে জঞ্জাল ফেলাকে ঘিরে বছর দেড়েক আগে গণ-প্রতিবাদ শুরু করেন স্থানীয়েরা। এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, এই অভিযোগে পুরসভার শ্রমিকদের কাজেও বাধা দেন বামুনমুড়োর বাসিন্দারা। তার জেরে ব্যাহত হয় নিয়মিত জঞ্জাল অপসারণের কাজ। ফলে কাজে এসেও বসেই থাকতে হয় শ্রমিকদের।
পুরকর্মীরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে বেশির ভাগ ওয়ার্ডেই এই অবস্থা। ফলে মাসে আট-দশ দিন বসে বসেই কেটে যায় শ্রমিকদের। তাতে সেই সব দিনের বেতনও মেলে না। এক শ্রমিকের কথায়, ‘‘৩০০ টাকার দৈনিক মজুরিতে কাজ করি। ৮-১০ দিন করে কাজ বন্ধ থাকলে মাসের শেষে কত টাকাই বা আর রোজগার হয়! জানি না কত দিন এই সমস্যা চলবে।’’ শ্রমিকেরা জানান, ভ্যান, শ্রমিক, ট্র্যাক্টরচালক-সহ একাধিক বিভাগের শ্রমিকেরাই এই সমস্যার মুখে পড়েছেন।
জঞ্জাল ফেলা নিয়ে সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বারাসত পুর কর্তৃপক্ষও। পুর জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের চেয়ারম্যান পারিষদ সৌমেন আচার্য জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জঞ্জাল ফেলা নিয়ে ফের জটিলতা তৈরি হয়েছে। যার জেরে বর্তমানে জঞ্জাল ফেলা বন্ধ রয়েছে। তবে তার জেরে শ্রমিকেরা পুরো বেতন পাচ্ছেন না, এমন অভিযোগ তিনি মানতে চাননি। উল্টে তাঁর দাবি, ‘‘ওঁরা যে ক’দিন কাজ করবেন না, সেই ক’দিনের অর্ধেক বেতন দাবি করেছিলেন। আমরা সেটা দিয়ে দিচ্ছি। তবে এটা ঠিকই যে, জঞ্জালফেলা নিয়ে চরম সঙ্কট তৈরি হয়েছে। সমস্যার দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি আমরা।’’
উল্লেখ্য, পরিবেশ দূষণ এড়াতে বামুনমুড়োর ওই জায়গায় জঞ্জাল থেকে কঠিন বর্জ্য আলাদা করে সার তৈরির প্রকল্প চালুর কথা ঘোষণা করেছে বারাসত পুরসভা। সেই মতো সেখানে প্রচারও চালানো হচ্ছে। কিন্তু পুরসভার দাবি, ওই এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ অন্যদের ভুল বুঝিয়ে সমস্যা তৈরির চেষ্টা করছেন। তার প্রভাব পড়ছে পুরসভার কাজে। এর ফলে নির্দিষ্ট কোনও একটি জায়গার বদলে যত্রতত্র জঞ্জাল ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন পুরকর্মীরা। তাতে পুর এলাকায় আরও বেশি করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy