Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
dumdum

প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে বিবাদ সহ-শিক্ষিকাদের, পঠনপাঠন ব্যাহত স্কুলে

প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরেই নানা অভিযোগ তুলেছেন সহ-শিক্ষিকারা। অভিযোগ, তাঁর কিছু সিদ্ধান্তের জন্য স্কুলের পরিবেশ ও পঠনপাঠনের মান খারাপ হচ্ছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৩১
Share: Save:

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে সহ-শিক্ষিকাদের গন্ডগোলের জেরে দমদমের মতিঝিল গার্লস স্কুলে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে, স্কুলের এক সহ-শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন নাগেরবাজার থানায়। প্রধান শিক্ষিকা পায়েল দে আবার জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার তাঁকে ঘেরাও করে রেখেছিলেন সহ-শিক্ষিকারা। তিনিও থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর জেরে স্কুলে পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ।

দমদম মতিঝিল গার্লস স্কুলের সহ-শিক্ষিকাদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিছু দিন আগে এক ছাত্রীকে কোনও কারণে চড় মারেন এক শিক্ষিকা। ওই ছাত্রী এই নিয়ে গার্গী মুখোপাধ্যায় নামে অন্য এক শিক্ষিকার কাছে অভিযোগ করে। গার্গী বলেন, ‘‘ওই ছাত্রী আমার কাছে জানতে চায়, সে থানায় অভিযোগ জানাতে যাবে কি না। আমি ওকে থানায় যেতে বারণ করি।’’ তবে গার্গীর অভিযোগ, ‘‘এর পরে ওই ছাত্রীকে ডেকে পাঠান প্রধান শিক্ষিকা। আমি থানায় যেতে প্ররোচনা দিয়েছি কি না, তা জানতে চান। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলে আমি প্রতিবাদ করি। এর জেরে প্রধান শিক্ষিকা আমার হাত মুচড়ে দেন ও নখ দিয়ে আঁচড়ে রক্ত বার করে দেন। মোবাইলও কেড়ে নেন তিনি। আমি দমদম পুরসভায় ডাক্তার দেখিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।’’

যদিও প্রধান শিক্ষিকা পায়েল দে বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ মিথ্যা। স্কুলের কিছু শিক্ষিকা অন্যায্য ভাবে চাইল্ড কেয়ার লিভ চাইছেন। আমি তা মঞ্জুর না করায় কয়েক জন অনুমতি না নিয়েই ছুটি নিয়ে নিয়েছেন। অন্যায্য দাবির প্রতিবাদ করায় কয়েক জন আমাকে বৃহস্পতিবার প্রায় দেড় ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখেন। পরে আমিও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এক বছর আগে উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে এই স্কুলে বদলি হওয়ার পর থেকেই কয়েক জন আমাকে সরানোর চেষ্টা করছেন।’’

প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরেই নানা অভিযোগ তুলেছেন সহ-শিক্ষিকারা। অভিযোগ, তাঁর কিছু সিদ্ধান্তের জন্য স্কুলের পরিবেশ ও পঠনপাঠনের মান খারাপ হচ্ছে। এমনকি, তাঁর বিরুদ্ধে মিড-ডে মিলের হিসাবের গরমিলেরও অভিযোগ এনেছেন সহ-শিক্ষিকাদের একাংশ। এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে জেলা শিক্ষা দফতরেও। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর জেলার স্কুল পরিদর্শক জানান, স্কুলের সহ-শিক্ষিকাদের একাংশ এবং প্রধান শিক্ষিকা— দুই তরফেই অভিযোগ রয়েছে। তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল শুক্রবার স্কুলে যায়। সোমবার এই নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার কথা। এর মধ্যে পঠনপাঠন যাতে বিঘ্নিত না হয়, কর্তৃপক্ষকে তা দেখতে বলা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

dumdum Primary Schools
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy