প্রতীকী চিত্র।
আশঙ্কার মতো তেমন কিছু না ঘটলেও দুর্যোগ কাটেনি। তাই দমদমের তিন পুর এলাকাতেই প্রস্তুতি পুরোদমে বহাল থাকছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘জ়ওয়াদ’-এর প্রভাবে শনিবার থেকেই কখনও হাল্কা, কখনও মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। জল কোথাও না জমলেও দমদমের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাস্তা নিয়ে। নাগেরবাজার থেকে দমদম স্টেশন পর্যন্ত অংশের দমদম রোডের বেহাল দশা নিয়ে বিশেষ করে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, পুজোর সময়ে কিছু তাপ্পি মারার কাজ হলেও লাভ হয়নি। এই হাল্কা বা মাঝারি বৃষ্টিতেও চলাফেরায় তাই সমস্যা হচ্ছে। যার মূল কারণ অবশ্যই বাগজোলা খালের উপরের ভেঙে দেওয়া কালভার্ট।
দক্ষিণ দমদম পুরসভা জানাচ্ছে, ওই রাস্তা এবং কালভার্ট সংস্কারের দায়িত্ব রাজ্য পূর্ত দফতরের। সেই কাজের প্রস্তুতি চলছে। দরপত্র-সহ বেশ কিছু প্রক্রিয়া এখনও বাকি। মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার কথা ভেবে কাজের গতি বাড়াতে পূর্ত দফতরের সঙ্গে ফের কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরেই লাগাতার বৃষ্টিতে খাল ভরে জলমগ্ন হয়ে যায় দমদম ও দক্ষিণ দমদমের বিস্তীর্ণ এলাকা। উত্তর দমদম পুর এলাকাতেও চলতি বছরের বৃষ্টিতে ১০-১২টি ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ডুবে যায়। সেই অভিজ্ঞতা মনে রেখেই এ বার প্রস্তুতি নিয়েছে তিন পুরসভা। জমা জল সরাতে তিনটি পুরসভা তাদের পাম্প সক্রিয় রাখছে। পুর এলাকায় নিকাশি যেখানে যেখানে অবরুদ্ধ ছিল, সে সব পরিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি তিন পুর কর্তৃপক্ষের। দমদম পুরসভার দাবি, রাতভর নজরদারির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
দক্ষিণ দমদমের পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতে জল জমার খবর নেই। তবু পুরসভা সতর্ক রয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে। বৃষ্টি বাড়লে জমা জল নামাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।
একই দাবি দমদম পুরসভার উপ মুখ্য প্রশাসক বরুণ নট্টের। তিনি জানাচ্ছেন, পুর এলাকায় জল জমার খবর নেই। তবে পাম্প এবং নিকাশির কর্মীদেরও প্রস্তুত রাখা
হয়েছে। রাতভর এলাকায় নজরদারি থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy