Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Bicycle thief

আগুনের ভিডিয়ো দেখে গ্রেফতার সাইকেল চোর

লকডাউনের পরে সংক্রমণ এড়াতে পথে সাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে সাইকেল চুরির ঘটনা।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

শিবাজী দে সরকার
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২০ ০২:১৯
Share: Save:

কালীঘাটের পটুয়াপাড়ায় দিন কয়েক আগে আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছিলেন এক বৃদ্ধা। আগুনের সেই ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো মোবাইলে দেখছিলেন এক অফিসার। এক জায়গায় এসে থমকে যান তিনি। কারণ, একটি মুখ। ওই ভিডিয়োয় এমন এক যুবককে দেখা যাচ্ছিল, যাঁকে আগে কোথাও দেখেছেন। এমনকি, তাঁর পোশাকও এক। কিছু ক্ষণের মধ্যেই অফিসারের মনে পড়ল, এলাকায় সাইকেল চুরির তদন্তে নেমে যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তিনি দেখেছিলেন, তাতে ওই যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে দেখা গিয়েছিল। সিনিয়র সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে যুবককে চিহ্নিত করতে ডাক পড়ল সোর্সদের। তাঁরাই জানিয়ে দিলেন, যুবকের নাম ও কালীঘাট এলাকার তাঁর বাড়ির ঠিকানা।

পুলিশ জানিয়েছে, পটুয়াপাড়ায় ওই আগুন লেগেছিল বৃহস্পতিবার। আর ওই যুবককে চিহ্নিত করে ভবানীপুর থানার পুলিশ শনিবারই গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম সৌমেন কয়াল। যাঁর বিরুদ্ধে গত এক মাসে শুধু ভবানীপুর এলাকাতেই ১৮টি সাইকেল চুরির অভিযোগ রয়েছে। ধৃতকে জেরা করে সোমবার পর্যন্ত ১২টি সাইকেল উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। যা তাঁদের এলাকা থেকেই গত এক মাসে চুরি গিয়েছিল। উদ্ধার হওয়া সাইকেলের বেশির ভাগ রেসিং সাইকেল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

লকডাউনের পরে সংক্রমণ এড়াতে পথে সাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে সাইকেল চুরির ঘটনা। চুরির অভিযোগ আসছিল ভবানীপুর থানা এলাকা থেকেও। এক তদন্তকারী জানান, গত এক মাস ধরে যদুবাবুর বাজার, বেনিনন্দন স্ট্রিট সংলগ্ন এলাকা থেকেও একের পর এক দামি সাইকেল চুরি হচ্ছিল। তদন্তে নেমে কিছু জায়গার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হয়েছিল। বেনিনন্দন স্ট্রিটের চুরির ঘটনায় ক্যামেরার ফুটেজ দেখে যাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছিল, তাঁর সন্ধান মিলছিল না। সাদা-নীল ডোরাকাটা শার্ট পরা ছিলেন ওই যুবক। আগুনের ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় সেই শার্টেই এক জনকে দেখা যায়। দু’টি ফুটেজ মিলিয়ে দেখতেই চুরির কিনারা করে ফেলা সম্ভব হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, চুরি করা কিছু সাইকেল ইতিমধ্যেই বিক্রি করে দিয়েছেন সৌমেন। সেগুলির খোঁজ চলছে। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ধৃত জেরার মুখে জানিয়েছেন, লকডাউনের আগে তিনি গাড়ি চালাতেন। এখন ভবানীপুর এলাকায় সকাল-দুপুর ঘুরে ঘুরে দামি সাইকেলে চুরি করছিলেন। প্রথমে নিজের বাড়িতে লুকিয়ে রাখতেন। সুযোগ বুঝে বিক্রি করে দিতেন।

লালবাজার জানিয়েছে, সাইকেলের ব্যবহার বাড়ায় চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল চুরির প্রবণতা। পুজোর আগে এ নিয়ে সব থানাকেই সতর্ক করা হয়েছিল।

অন্য বিষয়গুলি:

Bicycle thief Fire accident CCTV
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy