আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবনে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
এক দিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবনে শনিবার দুপুরে চলছে কাউন্সিলের বৈঠক। যে ঘরে বৈঠক চলছে, তার বাইরে বসে স্লোগান দিচ্ছেন ডাক্তারি পড়ুয়া, জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের দাবি, হাসপাতালে ‘হুমকি সংস্কৃতি’-তে অভিযুক্তদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে। ইতিমধ্যে ‘হুমকি সংস্কৃতি’-তে অভিযুক্ত ৫৯ জনের সঙ্গে তদন্ত কমিটির সদস্যেরা কথা বলেছেন। তার পরেও কেন এত দিন কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্নও তুলছেন তাঁরা।
শনিবার দুপুরে আরজি কর হাসপাতালে কাউন্সিলের বৈঠকে বসেছেন কর্তৃপক্ষ থেকে ডাক্তার, ইন্টার্নদের প্রতিনিধিরা। সূত্রের খবর, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে হাসপাতালে ‘হুমকি সংস্কৃতি’ চলার যে অভিযোগ উঠেছে, বৈঠকে তা নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মাঝেই প্ল্যাটিনাম জুবিলি ভবনের যে ঘরে বৈঠক চলছে, তার বাইরে বসে স্লোগান দিচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তার, ইন্টার্ন, ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, ‘হুমকি সংস্কৃতি’-তে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে হবে। হাসপাতালে ‘হুমকি সংস্কৃতি’-র অভিযোগ নিয়ে তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যেরা অভিযুক্ত, অভিযোগকারী এবং সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, এর পরেও কেন অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। যাঁদের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে, অনন্ত তাঁদের শাস্তি দেওয়া হোক বলে দাবি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের। এই দাবিতেই বৈঠক যে ঘরে হচ্ছে, তা ঘেরাও করে স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেমিনার হলে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেই আবহেই রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ‘হুমকি সংস্কৃতি’ চলার অভিযোগ করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। কয়েক জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন আরজি কর হাসপাতালের পড়ুয়ারা। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ৫০-এর বেশি জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চিকিৎসক ছাড়াও রয়েছেন হাউসস্টাফ, ইন্টার্নেরা। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে হাসপাতালের তদন্ত কমিটি।
যাঁদের বিরুদ্ধে আরজি করে ভয়ের পরিবেশ তৈরির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের নামের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, ওই চিকিৎসকদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ। অভিযোগ, সন্দীপ হাসপাতালে নিজের ‘প্রভাব’ বিস্তার করে নানা ‘দুর্নীতি’-তে মদত দিতেন। তাঁর ঘনিষ্ঠেরা দাপিয়ে বেড়াতেন হাসপাতালে। উত্তরবঙ্গ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ‘হুমকি সংস্কৃতি’র অভিযোগ ওঠে। প্রকাশ্যে আসে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে-র নাম। অভিযুক্তদের দফায় দফায় হাসপাতালে তলব করেছে তদন্ত কমিটি। তার পরেও কেন কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হয়নি, অভিযোগ জানিয়ে শনিবার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার, ইন্টার্ন, ডাক্তারি পড়ুয়ারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy