প্রতীকী ছবি।
প্রতি গ্রীষ্মেই রক্তের সঙ্কট দেখা দেয়। সেই কারণে বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনগুলিকে রক্ত সংগ্রহের জন্য শিবিরের আয়োজন করতে উৎসাহ দেওয়া হয়ে থাকে। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। এই সময়ে সরকার জমায়েত নিষিদ্ধ করায় রক্তদান শিবিরগুলি স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছেন উদ্যোক্তারা। ইতিমধ্যেই সরকারি এবং বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি রক্তের সঙ্কটে ভুগতে শুরু করেছে। গোটা রাজ্যের পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনাতেও দেখা দিয়েছে এই সঙ্কট। ফলে জটিল অস্ত্রোপচার, থ্যালাসেমিয়া প্রভৃতির চিকিৎসায় রক্তের জোগান দিতে পুলিশ ও বিভিন্ন হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের উদ্যোগে শুরু হয়েছে রক্তদান শিবির।
এই জেলায় পাঁচটি সরকারি এবং একটি বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক আছে। তাদের দাবি, রক্তের জোগান এখনই তলানিতে ঠেকেছে। এই মুহূর্তে রক্ত সংগ্রহে উদ্যোগী না হলে চরম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। রাজারহাটের একটি ক্যানসার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আশপাশে অনেকগুলি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার দফতর থাকায়, প্রতিদিন সেই সব সংস্থার অনেক কর্মী সেখানে রক্ত দিতে আসতেন। কিন্তু অনেক সংস্থাই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করে দেওয়ায় প্রায় সুনসান দফতরগুলি। যার খানিক প্রভাব পড়েছে এই হাসপাতালে রক্তের জোগানে। ক্যানসার নিয়ে কাজ করা বারাসতের একটি হাসপাতালের তরফে এ দিন গৌতম বসু জানান, এই পরিস্থিতিতে সরাসরি পরিজনদের থেকে রক্ত নিয়ে রোগীকে দেওয়া হচ্ছে।
সঙ্কট মোকাবিলায় পুলিশ ও হাসপাতালগুলি শিবিরের মাধ্যমে রক্ত জোগানের চেষ্টা শুরু করেছে। বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল জানান, তাঁরাও এই উদ্যোগে শামিল হচ্ছেন। সম্প্রতি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে রক্তের সংরক্ষণ নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। ওই হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের সুপারভাইজ়ার লাকি মণ্ডল বলেন, ‘‘নিয়মিত শিবির করে রক্ত সংগ্রহ করছি।’’ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহা বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে শিবির বন্ধ থাকলেও সঙ্কট এড়াতে হাসপাতালগুলি রক্ত সংগ্রহের ব্যবস্থা করছে। তাতেও সমস্যা না মিটলে অন্য উপায় ভাবা হবে।’’
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতো পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ, রেল পুলিশ, চিকিৎসকদের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকেও শুরু হয়েছে শিবির। বারাসত জেলা পুলিশ দোলতলায় রক্তদান শিবির করে। বারাসত স্টেশন সংলগ্ন মাঠে শিবির করেছে বারাসত জিআরপি। বারাসতে শিশুরোগ চিকিৎসক ধীমান চট্টোপাধ্যায়ের চেম্বারে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ব্যবস্থাপনায় প্রতি সপ্তাহে রক্ত দিচ্ছে ১২ থেকে ১৫ জন। ধীমানবাবু বলেন, ‘‘বারাসত হাসপাতালে রক্ত সঙ্কট রয়েছে বলে সেখানেই রক্ত দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে কলকাতার হাসপাতালেও নিয়মিত রক্ত সরবরাহ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy