Advertisement
২৮ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

ঝরা পাতায় মুখ ঢেকেছে দুই সরোবর 

কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পাতা জলে পড়ার ফলেই সমস্যা আরও বেশি। ওই পাতায় জল ঢেকে থাকায় ভাসমান শ্যাওলা পরিষ্কারের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

কৌশিক ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২০ ০৩:০৩
Share: Save:

লকডাউনে বন্ধ শহরের দু’টি বড় সরোবর চত্বর থেকে পাতার স্তূপ সরাতে রীতিমতো নাজেহাল দশা কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের। ওই বর্জ্য জমে থাকায় সরোবরের জীববৈচিত্রের উপরে তার কী প্রভাব পড়ছে, তা নিয়ে চিন্তিত পরিবেশকর্মীদের একাংশ। বিপুল পরিমাণ ওই জঞ্জাল কী ভাবে সরানো যাবে, তা নিয়ে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ।

কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পাতা জলে পড়ার ফলেই সমস্যা আরও বেশি। ওই পাতায় জল ঢেকে থাকায় ভাসমান শ্যাওলা পরিষ্কারের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সেই কারণে লকডাউনের সময়ে একসঙ্গে না-হলেও সরোবরের ভিতরে জমে থাকা বর্জ্য যদি ধাপে ধাপে সরানো যায়, তা হলে এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়।

কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল দফতরের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘‘কেএমডিএ-র সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে ওরা যদি জঞ্জাল তুলে পুরসভাকে দেয়, তা হলে পুরসভা তা সরিয়ে দেবে।’’ তিনি জানান, রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবরের বর্জ্য মূলত তাঁরাই পরিষ্কার করেন। তবে সে ক্ষেত্রে সরোবরের সাফাইকর্মীরা সেই বর্জ্য এক জায়গায় জড়ো করে রাখেন। সেখান থেকে পুরসভা তা নিয়ে যায়।

কেএমডিএ সূত্রের খবর, রবীন্দ্র এবং সুভাষ সরোবর থেকে প্রতিদিন যথাক্রমে এক হাজার এবং ৮০০ কিলোগ্রাম জৈব বর্জ্য উৎপন্ন হয়। কিছু অজৈব বর্জ্যও থাকে। এ বছর মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দু’টি সরোবরই বন্ধ থাকায় জমা বর্জ্যের পরিমাণ বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। ওই বর্জ্য সরাতে বেশ কিছু দিন সময় লাগবে বলেও কেএমডিএ-র দাবি। লকডাউনের ফলে এখন বন্ধ রয়েছে দু’টি সরোবরই। এ ছাড়া, কেএমডিএ-নিয়ন্ত্রিত কিছু পার্কও অনেক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে সেখানে বেশি বর্জ্য উৎপন্ন হয়নি বলেই আধিকারিকেরা জানিয়েছেন।

দুই সরোবর চত্বরে যে বিপুল পরিমাণ শুকনো পাতা জমে রয়েছে, তাতে কোনও ভাবে আগুনের ফুলকি এসে পড়লে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। বছরখানেক আগে রবীন্দ্র সরোবরে পাতার স্তূপে আগুন লেগে গিয়েছিল বলেও প্রশাসনিক আধিকারিকেরা জানান। তা ছাড়া, সরোবরের জলে পাতা পড়ে পচে গেলে তা জলজ প্রাণীদের পক্ষে অসুবিধাজনক হয়ে উঠতে পারে।

পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘গাছের পাতার বর্জ্য অবশ্যই মাটির পক্ষে ভাল। জৈব সার তৈরি হয়। কিন্তু সরোবরের জলে ওই পাতার কিছু অংশ পড়ে তা যদি পচতে থাকে, তা হলে জলের মান খারাপ হয়। মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর পক্ষে তা অবশ্যই খারাপ। তাই সরোবরের জীববৈচিত্র নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেনআপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy