প্রতীকী ছবি
আয়োজন যেন কম পড়ল প্রয়োজনের তুলনায়।
লকডাউনের নিয়ম ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে। মানুষও রাস্তায় নামছেন। এই পরিস্থিতিতে সোমবার সরকার ঘোষণা করেছিল, বেসরকারি বাস না চললেও ১৫টি রুটে সরকারি বাস যাত্রীরা পাবেন। এবং মজুত থাকবে এক হাজার ক্যাবও।
কিন্তু এ দিন যাত্রীদের অভিজ্ঞতা, বাস এবং বাস রুট, দুই-ই বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে বাস-পিছু ২০ জন যাত্রীর নিয়মেও একটু ছাড় দিতে হবে। না হলে এড়ানো যাবে না দুর্ভোগ।
এ দিন রাস্তায় নেমে গণপরিবহণের জন্য অপেক্ষা করা যাত্রীদের অনেকেরই বক্তব্য, বাস, ক্যাব বা ট্যাক্সি প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। পরিবহণ দফতরের খবর, কলকাতার ১৫টি রুটে সরকারি বাসের সংখ্যা আগের তুলনায় এ দিন থেকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়। আধ ঘণ্টা অন্তর সরকারি বাস চলেছে। তবে কোনও কোনও রুটে যাত্রীর চাপ সামলাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে সরকারি বাসের কর্মীদের।
এ দিন শহরের কয়েকটি প্রান্তিক ডিপোয় দেখা গিয়েছে বাস ছাড়ার সময়ে যাত্রীদের লম্বা লাইন। আবার মাঝ রাস্তা থেকে ২০ জনের বিধিনিষেধের কারণে বাসে উঠতে পারেননি অনেকেই। উত্তর কলকাতার ডানলপ-বালিগঞ্জ রুটের এস ৯এ বাসের জন্য সকাল থেকেই যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। বাস পরের পর ছাড়লেও স্ট্যান্ডে দীর্ঘক্ষণ যাত্রীদের লাইন ছিল। একই ছবি দেখা যায় গড়িয়ার ৫ এবং ৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে। এস-৫, এস-৭ এবং এস-৩৭ রুটের বাসের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গিয়েছে।
যাত্রীদের অনেকে জানান, বাসে যাত্রীর সংখ্যা সীমাবদ্ধ থাকায় দুপুর পর্যন্ত রাস্তায় বহু মানুষ অপেক্ষা করেছেন পরিবহণের জন্য। অবশ্য অনেক রুটে পরিস্থিতি স্বাভাবিকও ছিল। যাত্রীদের একাংশের মতে, বাসে ২০ জন ছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কয়েক জনকে দাঁড়িয়ে যাতায়াতের সুযোগ দিলে চাপ খানিকটা কমবে।
এক যাত্রীর কথায়, ‘‘ডিপো থেকেই ২০ জন যাত্রী তুলে নেওয়ায় রাস্তা থেকে কেউ বাসে উঠতে পারছেন না। আবার আগের যাত্রীরা যে যাঁর মতো নির্ধারিত গন্তব্যে নেমে যাচ্ছেন। তখন আবার ওই সব বাসস্টপে সংশ্লিষ্ট রুটের যাত্রী নেই। ফলে বাস ফাঁকা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এই নিয়ে আরও ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন রয়েছে।’’
অন্য দিকে, এ দিন প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এক হাজার অ্যাপ-ক্যাবও নামানো যায়নি বলেই সরকারি সূত্রে খবর। ভিন্ রাজ্যের ক্যাবচালকেরা বাড়ি ফিরে যাওয়ায় কিংবা কন্টেনমেন্ট জ়োন থেকে ভাড়া নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় ক্যাব পাননি অনেকেই। তবে বিশেষ এসি ট্রেনে দিল্লি থেকে আসা যাত্রীদের জন্য অবশ্য পুলিশ পৃথক ক্যাব এবং ট্যাক্সির ব্যবস্থা করে। তবে কলকাতা থেকে অনেকেই ক্যাব নিয়ে লম্বা দূরত্বে যাত্রা করেছেন।
আরও পড়ুন: সংক্রমণের জেরে মৃত্যু, রোগী পালানোর খবর পেল পরিবার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy