বাধা: গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে এলাকার রাস্তা। নিজস্ব চিত্র
হাওড়ায় করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চারটি এলাকা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করে সিল করে দিল প্রশাসন। তা সত্ত্বেও হুঁশ ফেরেনি স্থানীয়দের। অভিযোগ, সেখানে এখনও লোকজন ইচ্ছে মতো রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অন্য দিকে, সুপার ও এক স্বাস্থ্যকর্মীর পরীক্ষার রিপোর্ট করোনা পজ়িটিভ হওয়ার পরে হাওড়া হাসপাতালও কার্যত বন্ধ হওয়ার মুখে। রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না সেখানে। ভর্তি থাকা রোগীদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকে আবার স্বেচ্ছায় হাসপাতাল ছেড়ে চলে গিয়েছেন।
হাওড়া সিটি পুলিশ জানিয়েছে, হটস্পট চিহ্নিত করে যে চারটি জায়গা আপাতত সিল করা হয়েছে, সেই সব এলাকায় এ বার থেকে কেউ পুলিশের অনুমতি ছাড়া রাস্তায় বেরোতে পারবেন না। এ দিক-সে দিক ঘোরাঘুরি করতে পারবেন না। আপাতত ওই সব জায়গায় বাজার, দোকানও খুলতে দেওয়া হবে না।
হাওড়ার পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘করোনার সংক্রমণ বাড়া সত্ত্বেও মানুষ লকডাউন মানছেন না, এমনই চারটি এলাকা চিহ্নিত করে সিল করে দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েকটি জায়গা সিল করা হবে। নিয়ম না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এক পুলিশকর্তার অভিযোগ, ‘‘এত কিছুর পরেও মানুষ সচেতন হচ্ছেন না। প্রতিদিন ব্যাগ ঝুলিয়ে বাজার করছেন। যত্রতত্র আড্ডা দিচ্ছেন। লাঠিপেটা খেয়েও তাঁদের বোধোদয় হচ্ছে না। তাই এ বার এলাকা সিল করে দেওয়া হল।’’
করোনা সংক্রমণে গত ১০ দিনে হাওড়ায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবারও হাওড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এক প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়েছে। ওই এলাকায় আগেও এক জন মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া হাওড়ায় আরও কয়েক জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, হাওড়ায় আইসোলেশনে রয়েছেন ২০ জন। ডুমুরজলা কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রয়েছেন প্রায় ৩৫ জন। গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকতে বলা হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষকে।
এ দিকে সুপার ও এক স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ হওয়ায় হাওড়া হাসপাতাল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করেছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে গোটা হাসপাতালটিকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। চিকিৎসাধীন রোগীদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, কেউ আবার নিজেই চলে গিয়েছেন। গৃহ পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালের অধিকাংশ চিকিৎসক, নার্স-সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের।
চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের গৃহ পর্যবেক্ষণে যেতে বলায় হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত ভেঙে পড়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ র্কতা বলেন, ‘‘হাসপাতালটির যা পরিস্থিতি তাতে বন্ধ না করে উপায় নেই। তাই বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে রোগীদের ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy