প্রতীকী ছবি।
আমেরিকার ‘নোভাভ্যাক্স’ প্রতিষেধকের ভারতীয় সংস্করণ ‘কোভোভ্যাক্স’-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হল এই রাজ্যে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে (এসটিএম) পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রথম দিনে সাত জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে ওই প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সকলেই সক্রিয় প্রতিষেধক পাবেন। তাঁরা ছ’মাস পর্যবেক্ষণে থাকবেন। ওই সময়ে পাঁচ বার ‘এসটিএম’-এ আসতে হবে তাঁদের। এ জন্য ওই স্বেচ্ছাসেবকদের যাতায়াতের খরচও দেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, আমেরিকা এবং ইউরোপে নোভাভ্যাক্স তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ করেছে। দেখা গিয়েছে, কার্যকারিতা প্রায় ৯০.৪ শতাংশ। তারই প্রতিলিপি ‘কোভোভ্যাক্স’ দেশে তৈরির
দায়িত্ব পেয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট। এ রাজ্যে একমাত্র ‘এসটিএম’-এ ট্রায়ালের প্রিন্সিপ্যাল ইনভেস্টিগেটর হিসেবে রয়েছেন ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজির বিশেষজ্ঞ শান্তনু ত্রিপাঠী।
রাজ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফেসিলিটেটর স্নেহেন্দু কোনার জানাচ্ছেন, প্রচলিত প্রতিষেধকের থেকে আলাদা প্রযুক্তিতে তৈরি ‘কোভোভ্যাক্স’। এর মধ্যে রয়েছে কৃত্রিম ভাবে তৈরি ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন। তার কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য রয়েছে ন্যানো পার্টিকল রাসায়নিক।
স্বেচ্ছাসেবকদের একটা বড় অংশ ‘প্রোটিন বেসড রিকম্বিন্যান্ট স্পাইক প্রোটিন ন্যানো পার্টিকল ভ্যাকসিন’ কোভোভ্যাক্স পাবেন। আর কয়েক জন পাবেন ‘নোভাভ্যাক্স’। সূত্রের
খবর, ট্রায়ালে কারা ‘নোভাভ্যাক্স’, আর কারা ‘কোভোভ্যাক্স’ পাবেন, তা জানবেন না স্বেচ্ছাসেবকেরা।
একই পদ্ধতিতে দুই দেশে তৈরি ওই প্রতিষেধকের কার্যকারিতার তুলনা করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম ডোজ়ের ২১ দিন পরে দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ়। পরবর্তী ছয় মাসে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীর থেকে ৩-১৩ মিলিলিটার রক্ত নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে কতটা অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তবে দু’টি প্রতিষেধকেরই কার্যকারিতা প্রায় একই থাকবে বলেই আশা বিশেষজ্ঞদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy