Advertisement
E-Paper

বিমানবন্দরের পুরনো টার্মিনালই কোয়রান্টিন কেন্দ্র

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, নতুন ওই কেন্দ্রে ৪০০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আলাদা করে তৈরি হয়েছে চিকিৎসকদের ঘর

নতুন সেই কোয়রান্টিন কেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র

নতুন সেই কোয়রান্টিন কেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২০ ০২:১২
Share
Save

কলকাতা বিমানবন্দরেই এ বার কোয়রান্টিন কেন্দ্রের ব্যবস্থা করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। পুরনো অন্তর্দেশীয় টার্মিনালকে ওই কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এর ফলে অন্য শহর বা দেশ থেকে আসা যাত্রীদের কোয়রান্টিনে রাখতে গেলে আর বাসে করে কোথাও নিয়ে যেতে হবে না। এক টার্মিনাল থেকে বেরিয়ে তাঁরা পাশের টার্মিনালে ঢুকে পড়বেন।

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, নতুন ওই কেন্দ্রে ৪০০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আলাদা করে তৈরি হয়েছে চিকিৎসকদের ঘর। রয়েছে দু’টি বড় শৌচাগার। যে সংস্থাটি রাজ্য সরকারের তরফে এই কোয়রান্টিন কেন্দ্রের দেখভাল করবে, খাবারের ব্যবস্থাও তারাই করবে।

আজ, বুধবার ঢাকা থেকে দ্বিতীয় উদ্ধারকারী উড়ান নামবে কলকাতায়। তবে সেই উড়ানের ১৫৩ জন যাত্রীর অধিকাংশই হোটেলে কোয়রান্টিনে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। ফলে, হাতে গোনা কয়েক জনকে নতুন এই কেন্দ্রে রাখা হতে পারে বলে বিমানবন্দর সূত্রের খবর।

এ দেশের যে যাত্রীরা অন্য শহর থেকে কলকাতায় আসবেন, তাঁদের দেহে যদি সংক্রমণের আভাস পাওয়া যায় এবং তা দেখে যদি স্বাস্থ্য দফতরের মনে হয় কোয়রান্টিনে রেখে তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা দরকার, তাঁদেরও এই নতুন কেন্দ্রে রাখা হবে। এ ছাড়াও ২৯ মে কলম্বো এবং মায়ানমার থেকে দু’টি উদ্ধারকারী উড়ান নামবে কলকাতায়। ওই দুই উড়ানের সব যাত্রীকেই কোয়রান্টিনে পাঠাতে হবে। সে ক্ষেত্রেও বিমানবন্দরের এই কোয়রান্টিন কেন্দ্র ব্যবহার করা হবে।

আরও পড়ুন: আমপানের রোষ থেকে মুক্তি পেল না বটানিক্যাল গার্ডেনও

কলকাতায় এখন যে নতুন টার্মিনালটি রয়েছে, সেটি ২০১৩ সালে চালু হয়। তার আগে সেটিরই পাশে থাকা পুরনো টার্মিনাল থেকে চলত যাত্রী পরিষেবা। ওই পুরনো টার্মিনালটি আন্তর্জাতিক ও দেশীয়, দু’টি ভাগে বিভক্ত ছিল। পুরনো আন্তর্জাতিক টার্মিনাল এখন পণ্য পরিবহণে ব্যবহার হয়। আর দেশীয় টার্মিনাল ব্যবহৃত হচ্ছিল শুধু হজ যাত্রীদের জন্য। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য মঙ্গলবার বলেন, “পুরনো অন্তর্দেশীয় টার্মিনাল খালি পড়ে ছিল। এ বছরে হজও হবে না। তাই ওই টার্মিনালের অ্যারাইভালের দিকটি রাজ্য সরকারকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে।”

আরও পড়ুন: বাড়ছে সরকারি বাস, আজ থেকে পথে অটোও

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, আগামী দু’মাসের জন্য রাজ্য এটি চেয়ে নিয়েছে। এর জন্য রাজ্যকে ভাড়া গুনতে হবে না। শুধু ভিতরে যেহেতু ২৪ ঘণ্টা এসি চলবে, তাই বিদ্যুতের খরচ বহন করতে হবে। আগে এই খালি টার্মিনালের পাহারার দায়িত্বে ছিল আধা সামরিক বাহিনী। এ বার রাজ্য পুলিশকে দিয়ে পাহারা দেওয়া হবে। তবে, ওই টার্মিনাল থেকে বিমানবন্দরের ভিতরের দিকে, এপ্রন বা এয়ারসাইডে (যেখানে বিমান দাঁড়ায়) যাওয়ার গেটে আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানেরাই থাকবেন।

Coronavirus in Kolkata State Government Quarantine Center Kolkata Airport

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।