শুভ্রজিতের বাবা বিশ্বজিত এবং মা শ্রাবণী চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন তাঁদের ছেলে। আর তার জন্য যে হাসপাতাল এবং তার কর্মীরা দায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানালেন ইছাপুরের শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মা শ্রাবণী। রবিবার সকালে তিনি বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
শুক্রবার প্রায় ১১ ঘণ্টা একের পর এক হাসপাতালে ছেলের চিকিৎসা করাতে ঘুরে বেড়ান শুভ্রজিতের বাবা-মা। কিন্তু কোথাও চিকিৎসা না পেয়ে মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছন। সেখানেও প্রথমে ভর্তি নিতে চায়নি হাসপাতাল এমনটাই অভিযোগ। শেষে শ্রাবণী হাসপাতালের ভিতর ঢুকে আত্মহত্যার হুমকি দিলে শুভ্রজিতকে ভর্তি নেওয়া হয়। শুক্রবার রাতেই মৃত্যু হয় শুভ্রজিতের। পরিবারের অভিযোগ, কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে তাঁদের ছেলের।
শ্রাবণী এ দিন তাঁর অভিযোগে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে বেলঘড়িয়ার বেসরকারি নার্সিং হোম, সাগর দত্ত হাসপাতালে যাওয়া এবং সেখান থেকে মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে কী অবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন তা বিস্তারিত জানিয়েছেন। তার সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়েও। তিনি তাঁর লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে তাঁদের কাছে আমার ছেলের কোভিড পজিটিভ হওয়ার কোনও তথ্য নেই। তবে কিসের ভিত্তিতে আমার ছেলেকে কোভিড পজিটিভ বলা হচ্ছে? কেনই বা আমার ছেলের দেহও আমি দেখতে পাচ্ছি না শেষ বারের মত?”
আরও পড়ুন: স্টেট ব্যাঙ্কের জাল ব্রাঞ্চ খুলতে গিয়ে পাকড়াও তামিলনাড়ুর তরুণ
শ্রাবণী তাঁর লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন,‘‘আমার ছেলেকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুন।” ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সেই বয়ান অনুযায়ী তদন্ত করে দেখা হবে।”
আরও পড়ুন: নিউ আলিপুরে নাবালিকার রহস্যমৃত্যু, পরিবারের আচরণে ‘অসঙ্গতি’
রবিবার দুপুরেও শুভ্রজিতের বাবা বিশ্বজিত এবং মা শ্রাবণী গিয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁরা আবেদন জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে, অন্তত একবার ছেলের দেহ যেন দেখতে দেওয়া হয়। কিন্তু কোভিড পজিটিভ সন্দেহে ভর্তি হওয়ায়, শুভ্রজিতের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। দেখতেও দেওয়া হয়নি। যদিও সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতর নতুন নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, যে কোভিডে মৃত্যু হলেও, পরিবারকে অন্তত আধঘণ্টা শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ দেওয়া হবে। দেখতে দেওয়া হবে মৃতকে। শ্রাবনীর অভিযোগ, ‘‘এদিন তিনি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বার বার অনুরোধ করার পরও ছেলেকে শেষবারের মতো দেখার অনুমতি দেওয়া হয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy