হুড়োহুড়ি করে মেট্রোয় ওঠার সেই পুরনো ছবি কি শীঘ্রই ফিরতে চলেছে? —ফাইল চিত্র
আগামী মাসেই ‘আনলক-৪’ পর্বে কলকাতায় চালু হয়ে যেতে পারে মেট্রো পরিষেবা। প্রস্তাবটি আপাতত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবেচনাধীন বলে খবর। তবে, এ নিয়ে রেল মন্ত্রকের কোনও নির্দেশিকা এখনও মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে এসে পৌঁছয়নি। রাজ্যে এখন সাপ্তাহিক লকডাউন শুরু হয়েছে। ফলে দৈনিক সংক্রমণের হার-সহ সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মেট্রো চলাচল কী ভাবে শুরু হবে, সেই প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে।
গত জুলাই মাসে ভাড়া বা যাত্রী-সংখ্যা, কোনওটাই না বাড়ায় রাস্তায় কমে গিয়েছিল বেসরকারি বাস-মিনিবাস। সঙ্কটের সেই সময়ে রাজ্য সরকার মেট্রো চলাচল শুরু করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ
করেছিল। সেই মতো যাবতীয় বিধি মেনে কী ভাবে মেট্রো চালু করা যায়, তা ঠিক করতে মেট্রোকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকেও বসেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা। কিন্তু যাত্রী-সংখ্যা বেড়ে গেলে কী ভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তার কোনও উত্তর মেলেনি। শেষে ঠিক হয়, জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে মেট্রো চালানোর ব্যবস্থা করা হবে। তার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব বিশেষ অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি দেন। ইতিমধ্যে দেশের
বিভিন্ন রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।
এর পরে অগস্ট মাসের শুরুতে দিল্লিতে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দিল্লি সরকার কেন্দ্রের কাছে মেট্রো চালানোর অনুমতি চায়। ওই দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিবেচনা করতে পারে বলে খবর। কলকাতা মেট্রো সূত্রের খবর, ‘আনলক-৪’ পর্বে শর্তসাপেক্ষে মেট্রো চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলে পরিষেবা দিতে তারা পুরোপুরি প্রস্তুত। তাই রেল মন্ত্রক প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠালেই মেট্রোর চাকা ঘুরতে পারে। তবে, গত কয়েক মাসে মেট্রোর কর্মী, আধিকারিক এবং আরপিএফ কর্মীদের মধ্যেও সংক্রমণ বেড়েছে। ফলে করোনা আবহে মেট্রোকর্মীদেরও একাধিক সতর্কতা মেনে চলতে হচ্ছে। আগের তুলনায় অনেক কম কর্মীকে এক লপ্তে কাজে আনা হচ্ছে। ফলে ট্রেন চালানো, স্টেশন পরিচালনা কিংবা রক্ষণাবেক্ষণের কাজে আগের চেয়ে অনেক কম কর্মীকে পাওয়া যাবে। মেট্রোকর্তাদের বক্তব্য, এই অবস্থায় পরিষেবা চালু করা গেলেও আগের মতো ঘন ঘন ট্রেন চালানো যাবে না।
রাজ্যে সাপ্তাহিক লকডাউনের কারণে ইতিমধ্যেই দিল্লি, আমদাবাদ ও মুম্বইয়ের মতো শহর থেকে আসা ট্রেনের সংখ্যা অনেকটাই কমানো হয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যে সংক্রমণের দৈনিক সংখ্যা না কমলে মেট্রো চলাচলের অনুমতি কী ভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিষয়টি রাজ্যগুলির হাতে ছেড়ে দিতে পারে বলে খবর। তবে, এ ব্যাপারে নবান্ন কী অবস্থান নেবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রশাসনের কেউই এ নিয়ে সরাসরি মুখ খুলতে চাননি। তবে, বিশেষ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জন্য মেট্রো চালু করার ব্যাপারে রাজ্যের সায় মিলতে পারে বলে খবর।
ইতিমধ্যেই মেট্রোর কাউন্টারে ভিড় এড়াতে অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্ট কার্ডে অনলাইন রিচার্জ শুরু হয়েছে। দিনের কোন সময়ে কী ব্যবধানে মেট্রো চলবে, তা-ও জানানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে দূরত্ব-বিধি মানার ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা হতে পারে। তবে, আপাতত ‘আনলক-৪’ পর্বের নতুন নির্দেশিকা এবং মেট্রো চালানোর ব্যাপারে রাজ্যের আগ্রহের উপরেই সব কিছু নির্ভর করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy