ড্রোনে ধরা পড়া নিউ টাউনের সাপুরজি বাজারের ছবি। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
নিউ টাউনের বিস্তীর্ণ এলাকায় বাজারে, ব্লকের অভ্যন্তরে কোথাও ভিড় হচ্ছে কি না, মুহূর্তে সেই খবর পৌঁছে যাচ্ছে পুলিশের কাছে। রাস্তায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মী বা স্থানীয় বাসিন্দারাই শুধু নন, সে খবর মিলছে ড্রোনের সাহায্যেও। এমনই পদক্ষেপ করেছে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।
সংস্থা সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এলাকায়, বহুতলের ছাদে জল জমে আছে কি না, তাতে নজরদারি করতে এর আগে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। বর্তমানে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলার চেষ্টা চলছে। সে কারণে চলছে সচেতনতার প্রচার। পথে নেমে পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণ কিংবা লোকজন মাস্ক পরছেন কি না, তার উপরে নজরদারি চালাচ্ছে। কিন্তু নিউ টাউনের বিভিন্ন ব্লক, রাস্তা, বাজার এলাকার প্রতিটি জায়গায় নজর রাখতে গেলে বিপুল লোকবল প্রয়োজন।
সেখানেই ড্রোনের সাহায্যে নজরদারির বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করে এনকেডিএ। শনিবার সেই ড্রোন থেকে বিভিন্ন এলাকার ছবিও সংগ্রহ করা হয়। সেই ছবি দেখে জায়গা চিহ্নিত করে এনকেডিএ-র কর্মীরা দ্রুত সংশ্লিষ্ট থানাকে জানিয়ে দেবেন। এর জেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পদক্ষেপ করতে সুবিধা হবে পুলিশের। এমনটাই মনে করছেন এনকেডিএ-র কর্তারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, এখন নিউ টাউন এলাকায় তিনটি থানা তৈরি হয়েছে। এর ফলে নজরদারি আগের চেয়ে বেড়েছে। তবুও ড্রোনের নজরদারির মাধ্যমে দ্রুত খবর পেলে পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে গতি বাড়বে।
নিউ টাউনের বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, করোনার মোকাবিলা করতে শুধু প্রশাসনের উপরে দায় চাপালে হবে না। নাগরিকদেরও একই ভাবে সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু একাংশের কিছুতেই হুঁশ ফিরছে না। তাই নজরদারির প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত ভাবে কাজে লাগবে।
এনকেডিএ-র এক কর্তা জানান, করোনার মোকাবিলায় ন্যূনতম কয়েকটি নিয়ম পালন করতে হবে। এলাকায় সেই বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা নজরে রাখতে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy