প্রতীকী ছবি। ফাইল চিত্র।
একই সঙ্গে ১৩ জন রোগী করোনা আক্রান্ত হলেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে। রাজ্যের কোনও সরকারি হাসপাতালে একসঙ্গে এত জন রোগী সংক্রামিত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। এর মধ্যে ৭ জন প্রসূতি। এঁরা প্রত্যেকেই সদ্যোজাত সন্তানের মা। কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার পর সদ্যোজাতদের সন্তান-সহ এঁদের ভর্তি করা হয়েছে এম আর বাঙুর এবং বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। বাকিদের মধ্যে চার জন ভর্তি ছিলেন আইসোলেশন ওয়ার্ডে। অন্য দু’জন মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। এ ছাড়াও এক রোগীর মৃত্যুর পর তাঁর রিপোর্টও পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রোগীদের কেউ করোনা চিকিৎসার জন্য ভর্তি হননি।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যককর্মীদের সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এনআরএসে অনেক বেশি সতর্ক ছিলেন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, স্ত্রী রোগ বিভাগে আগেই তৈরি করা হয়েছিল আইসোলেশন ওয়ার্ড। সেখানে পর্যাপ্ত সতর্কতা এবং সুরক্ষা বিধি মেনে কাজ করেছেন চিকিৎসা কর্মীরা এবং চিকিৎসকরা। ফলে তাঁদের কেউ আক্রান্ত হননি। আগে থেকেই সামান্যতম উপসর্গ দেখা দিলেই রোগীদের আইসোলেশনে রাখায়, গোটা প্রসূতি বিভাগে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। সূত্রের খবর, আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা বাকি রোগীদেরও নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের নেগেটিভ পাওয়া গিয়েছে। তবে ৫ থেকে ৭ দিন পর ফের পরীক্ষা করা হবে।
সূত্রের খবর, ওই ১৩ জনই এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ২৩ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে ৬ জন ভর্তি হয়েছিলেন প্রসূতি বিভাগে। ওই মহিলাদের বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে। এন্টালি, তালতলা, জোড়াসাঁকো, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স, গার্ডেনরিচ এবং কাঁকুড়গাছি এলাকার বাসিন্দা এঁরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এঁদের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। ৩০ এপ্রিল তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রত্যেকেরই রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: লকডাউনে জীবনের অন্য পাঠে জোর দিচ্ছে পাঠভবন স্কুল
আরও পড়ুন: মৃত আরও দুই, সন্দেহ করোনা
অন্য দু’জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন পুরুষদের এবং মহিলাদের মেডিসিন ওয়ার্ডে। তাঁদের এক জনের বয়স ৬৫, অন্য জনের ৬১। তাঁদের শরীরেও কোভিডের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আরও এক জন রোগীর শরীরে কোভিডের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে, তবে রিপোর্ট আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি আইসোলেশনে ছিলেন। এঁরা এন্টালি, নিউমার্কেট এবং নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগরের বাসিন্দা।
কী করে এত জন আক্রান্ত হলেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্য দিকে, বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রাজ্য সরকারের এক মহিলা আমলা। তিনি উত্তর ২৪ পরগনায় কর্মরত।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy