প্রতীকী ছবি
করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন জারি করে বাড়ি থেকে বেরোনো বা জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকার। আর দিন কয়েক পরেই বাসন্তী পুজো। ফলে করোনার গেরোয় আটকে গেল রাজ্য জুড়ে পাঁচ দিন ধরে পালিত সেই পুজো।
পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল লকডাউন ঘোষণার আগেই। প্রতিমার বায়না দেওয়া থেকে মণ্ডপ প্রস্তুতির অনেক কাজ এগিয়েও গিয়েছিল। এখন সেই সব পুজোর প্রতিমার বরাত বাতিল করা থেকে মণ্ডপ খোলার কাজ শুরু হয়েছে। কোথাও আবার উদ্যোক্তারা মণ্ডপ না খুললে পুলিশ গিয়ে নিজে থেকেই বন্ধ করে দিচ্ছে কাজ।
একই ভাবে বন্ধ হচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কয়েকশো বাসন্তী পুজো। এই পুজোগুলির বেশ কয়েকটিকে কেন্দ্র করে দেগঙ্গা, বেড়াচাঁপায় মেলাও বসে। লক্ষাধিক টাকা বাজেটের পুজোয় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ও রাজ্যের নির্দেশিকা মেনে কড়া হাতে পুজো আটকাচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
এ দিকে, পুজো বন্ধ হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে মৃৎশিল্পী, মণ্ডপ ও আলোর কাজে যুক্ত ব্যবসায়ীদের। এই জেলার কয়েকটি পুজোর প্রতিমা তৈরি প্রায় শেষ। সেই সব পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, আলো থাকবে না। বাজবে না মাইক। শুধুমাত্র প্রতিমা রেখে পুজো করা হবে। পুজো চলাকালীন চার জনের বেশি যাতে মণ্ডপে থাকতে না পারেন তা লক্ষ রাখা হবে। বেড়াচাঁপার একটি পুজো কমিটির সদস্য শান্তনু মণ্ডল বলেন, ‘‘মানুষ বাঁচলে তবেই ধর্ম, উৎসব হবে। তাই আড়ম্বরহীন ভাবে ঘট পুজো হবে। ভিড় থাকবে না।’’
কিন্তু লকডাউন পর্বে কী ভাবে এই জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা হবে? উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে পুজো যাঁরা বন্ধ রাখছেন, তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আর যাঁরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy